সুনন্দা পুষ্কর হত্যা মামলায় আরও একবার অস্বস্তিতে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। ২০১৪ সালে নয়া দিল্লির এক অভিজাত হোটেলে সুনন্দা পুষ্করকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সেই সময় সরকারি বাংলোতে মেরামতি চলায় স্ত্রীকে নিয়ে হোটেলে থাকছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। এরপরই দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয় ওনার বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া এবং স্বামী হিসেবে স্ত্রীকে অত্যাচার করার।
২০২১ সালে এই মামলায় নীম্ন আদালত জামিনে মুক্ত করেছিল শশী থারুরকে।
নীম্ন আদালতের রায়কে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করল দিল্লি পুলিশ। মামলা হওয়ার পরই বৃহস্পতিবার তৎপরতার সাথে হাইকোর্ট থেকে নোটিশ পাঠানো হলো কংগ্রেসের এই অন্যতম জনপ্রিয় সাংসদকে। কিন্তু, থারুর সেই মামলার আবেদনের প্রতিলিপি পাননি বলে জানিয়েছেন। এরপরই শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়া এবং নিউজ চ্যানেল জুড়ে। বিষয়টি নিয়ে চর্চা হওয়ায়, ‘মিডিয়া ট্রায়ালের’ বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন থারুর।
এদিন আদালতে শশী থারুরের পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, থারুরকে দিল্লি পুলিশ তাদের আবেদনের প্রতিলিপি দেননি,এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল ইমেল অ্যাড্রেসে মেল পাঠিয়েছেন। এরপরই বিচারপতি ডিকে শর্মা দিল্লি পুলিশের কৌশুলিকে নির্দেশ দেন আবেদনের একটি প্রতিলিপি শশী থারুরের আইনজীবীকে দিতে।
বিচারপতি আরও বলেন মামলা সম্পর্কিত আবেদনের প্রতিলিপি বা নথিপত্র বাইরে আর কাউকে দেওয়া যাবে না। কোর্ট সূত্রে এও জানাযায় পরবর্তী শুনানি ৭ ফেব্রুয়ারি।
এর আগে ১৫ মাস ধরে মামলা চলার পর নীম্ন আদালত মুক্ত করেছিল শশী থারুরকে। আদালতের তরফে জানান হয়েছিল থারুরের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রামাণিত না হওয়াই মুক্ত করা হয় থারুরকে। শুনানির সময় থারুর বারবার বলেছিলেন সুনন্দা হত্যায় ওনার প্ররোচনা আছে এমন কোন প্রমাণ নেই।