রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে আসামের হোজাইয়ে। প্রায় ১২-১৫ জন ব্যক্তি হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় এবং এক চিকিৎসকের উপর হামলা করে বলে অভিযোগ।
গতকাল কোভিড হাসপাতালে পিপাল পুখুরী গ্রামের এক ব্যক্তির অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়। এরপরই চিকিৎসকের ভুলে ওই কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মৃত ব্যক্তির পরিবার এবং তারা হাসপাতালের এক চিকিৎসকের উপর চড়াও হয়, নির্মমভাবে ঘুষি, লাথি এবং ধাতব পাত্র ও ইট দিয়ে আঘাত করে তাকে। আহত চিকিৎসককে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
চিকিৎসককে নির্মম ভাবে মারধরের একটি ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই মূল অভিযুক্তসহ ২৪ জনকে রাতারাতি খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে উদালী মডেল হাসপাতালে ডক্টর সেজ কুমার সেনাপতি ডিউটি করছিলেন, তখন তার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে।
ডঃ সেনাপতি গণমাধ্যমকে জানান, “রোগীর এক আত্মীয় আমার কাছে এসে জানায়, রোগীর অবস্থা গুরুতর এবং তিনি সকাল থেকে প্রস্রাব করেননি। আমি ঘরে গিয়ে দেখি রোগী মারা গেছেন। আমি যখন ওই আত্মীয়র কাছে মৃত্যু সংবাদ দিতে যাই তখন অন্য এক আত্মীয় আমাকে গালি দিতে শুরু করেন।”
রোগীর মৃত্যুতে ক্ষুদ্ধ হয়ে মৃত ব্যক্তির পরিবার হাসপাতালে হামলা চালায়। বেশিরভাগ মেডিকেল অফিসার পালাতে সক্ষম হন। ডঃ সেনাপতি পালাতে না পেরে নিজেকে একটি ঘরে আটকে রাখেন। পরে দরজা ভেঙে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, “তারা আমার সোনার চেন, আংটি এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।”
আসাম মেডিকেল সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন (AMSA)-এর সদস্যরা দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা OPD পরিষেবাগুলি বয়কট করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা পুলিশকে এই হামলার তদন্ত করতে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন।
আসাম পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টার জেনারেল জিপি সিং জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।