রিন্টু ব্রহ্ম
বনগাঁ লোকসভা এলাকায় শুরু হতে চলেছে ‘অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার’! আবেদনের দিনক্ষণ জানিয়ে পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায়, চাঞ্চল্য এলাকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে আগামী ১ জুলাই থেকে বনগাঁ লোকসভা এলাকায় বিজেপি নেতৃত্ব অন্নপূর্ণা ভান্ডার চালু করতে চলেছে। কবে থেকে আবেদন করা যাবে তার দিনক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে মাসে মিলবে ৩০০০ টাকা। এরজন্য ১৫-৩০ জুন আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে।
এইবারের লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন তৃণমূল সরকার লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পকে মূল হাতিয়ার হিসাবে কাজে লাগায়। বিজেপি নেতারাও তৃণমূল সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের পাল্টা হিসাবে বাংলাতে অন্নপূর্ণা ভান্ডার চালু করার কথা ঘোষণা করে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী
জানান, বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে অন্নপূর্ণা ভাণ্ডারের মাধ্যমে মহিলাদের প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই অন্নপূর্ণা ভান্ডার সংক্রান্ত একটি বিশেষ পোস্ট। যেখানে বলা হয়েছে আগামী ১ জুলাই থেকে বনগাঁ লোকসভা এলাকায় অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার চালু করতে চলেছে বিজেপি। এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিজেপির অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন মানুষ পোস্ট শেয়ার করেন। ফেসবুকে এই সংক্রান্ত পোস্টগুলি শেয়ারের মাধ্যমে এটাই ইঙ্গিত করা হচ্ছে যে, এইবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল জয়ী হলেও বনগাঁয় বিজেপি জয়ী হওয়ায় সেখানকার মহিলাদের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এই অন্নপূর্ণা ভান্ডার চালু করতে চলেছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট নিয়ে নানা বিবেচনা ও অনুসন্ধান করে দেখা গেছে যে বনগাঁয় অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার চালু হওয়া সংক্রান্ত ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর।
প্রথমত, ভাইরাল পোষ্টের বিঃদ্রঃ – এর অংশটি সন্দেহজনক। এতে ‘ভোট ভিক্ষা’কথা ব্যবহার করা হয়েছে। এই কথা থেকে অনুমান করা যায় যে পোস্টটি ভুয়ো হলেও হতে পারে।
Real post https://perma.cc/DUS6-XFGV
একইসঙ্গে, যদি বনগাঁয় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বা শান্তনু ঠাকুরের তরফে অন্নপূর্ণা ভান্ডার চালু করা হয় তাহলে সেই খবর অবশ্যই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতো। তবে এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টটি যে ভুয়ো তা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত গাইঘাটা বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি বলেন”ভাইরাল পোস্টটি ভুয়ো। তৃণমূল নেতারা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত ও বিজেপিকে বদনাম করতে এইসব প্রচার করছে। বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকার এ ধরনের কোনো প্রকল্প চালু করলে তা সারা দেশ বা রাজ্যের জন্য প্রযোজ্য হবে। কেবলমাত্র বনগাঁ বা কোনো নির্দিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রের জন্য না”।