ভারতের EV (Electronic Vehicle) মার্কেট দিন দিন আরো বড়ো হচ্ছে, পরিবেশ ও খরচের দিকে নজর দিয়ে ক্রেতাদেরও পছন্দের তালিকায় এই ইলেকট্রিক গাড়িরা, তবে দু চাকার ক্ষেত্রে কোথাও যেন পাওয়ার বা মাইলেজ নিয়ে প্রশ্ন জাগে ক্রেতাদের মনে। এমন সময় সময়ে সাথে তাল মিলিয়ে ও প্রয়জনীয়তা বুঝে কেটিএম(KTM) ও বাজাজ(।
বাজাজের এক্সিকিউটিভ ডাইরেকটর রাকেশ শর্মা (Rakesh Sharma) এ বিষয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন দুই কম্পানি একসাথে ইলেকট্রিক মটরসাইকেলের বিষয়ে দেখছে। তিনি এই ইলেকট্রিক বাইক সম্পর্কে বলতে গিয়ে “High-End” শব্দটি ব্যবহার করেন, এ থেকে আশা করা যায় আমরা হয়তো 390 শ্রেণীর সমতুল্য কোনো ই-বাইক বাজারে দেখতে পাবো। তিনি আরো জানান এ বিষয়ে পরিকল্পনা চলছে, এবং এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সঠিক সময়ে করা হবে।

এ বছরের শুরুর দিকে ইউরোপীয় শক্তিশালী দু-চাকা নির্মেতা কম্পানি পিরের মোবিলিটির( PIERER Mobility) সিইও স্টেফান পিরের জানান যে কম্পানি 48 ভোল্টের আর্কিটেকচারের উপর বানানো ইলেকট্রিক বাইকের প্রতি আগ্রহী। পিরের মোবিলিটি মোটর বাইকের সাথে সাথে আর. রেমন(R Raymon), গ্যাসগ্যাস(GASGAS) ও হাসকিউভারনা(Husqvarna)র নামে বিভিন্ন ই-সাইকেল ইউরোপীয় বাজারে বিক্রি করে থাকে।
বর্তমানে ভারতীয় বাজারে অবস্থিত বাজাজের একমাত্র ই-স্কুটার হল চেতাক(Bajaj Chetak), এছাড়া কম্পানি পরবর্তী 2 বছরে বেশ কিছু স্কুটার লঞ্চ করতে চলেছে যা হয়তো নতুন বিকশিত চাতক প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। তবে এই দুই মুখ্য কম্পানিদের মিলিত প্রচেষ্টা ভারতের বাইক প্রেমীদের শখ ও পরিবেশ বান্ধবতার দিকে এক নতুন পথ দেখাতে পারে বলে অনেকেই আশাবাদী।