আর জি কর কাণ্ডে মহিলা চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণে একমাত্র ধৃত সঞ্জয় রায়। কিন্তু এই অপরাধে কি সে একাই জড়িত ? না আরও কেউ আছে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ? ঠিক কি ঘটেছিল সেই অভিশাপ্ত রাতে ? এই সব রহস্যের সমাধান খুঁজতে আজই পলিগ্রাফ টেস্ট করানো হচ্ছে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়র সঞ্জয়ের। এদিন প্রেসিডেন্সি জেলের হেপাজতে থাকাকালীনই তার এই পরীক্ষা করা হচ্ছে। উত্তর মিলতে পারে অভিযুক্ত কি সত্যি বলছে না আরও কিছু লুকানো রহস্য রহস্য রয়েছে ? এই বিষয়ে নিশ্চিত হতেই করা হবে এই পরীক্ষা। মিথ্যা বললেই ধরে ফেলতে পারে এই মেশিন।
শনিবারই সন্দীপ ঘোষ সহ মোট ৪ জনের পলিগ্রাফ টেস্ট করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। বাকি ছিল সঞ্জয়। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে প্রেসিডেন্সি জেলের হেপাজতে হয়েছে এই ধৃত সিভিক ভলান্টিয়র। শনিবারই সেখানেই পৌঁছে ছিলেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে টেকনিক্যাল কারণে টেস্ট করা সম্ভব হয়নি। জেলের মধ্যেই এই টেস্ট করা সম্ভব কিনা তা খতিয়ে দেখে আসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি। এরপর আজ শুরু হয় অভিযুক্তের লাই ডিটেকটর তথা পলিগ্রাফ টেস্ট। জানা যাচ্ছে, এই টেস্টের তত্ত্বাবধানে রয়েছে সিবিআই-এর স্পেশাল টিম। সিএফএসএল(সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি)-এর তত্ত্বাবধানে হচ্ছে পলিগ্রাফ। জানা গিয়েছে, আজ সিভিক ভলান্টিয়র ছাড়াও বাকি দুই চিকিৎসকের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হচ্ছে।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় সময় বারবার গোয়েন্দাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে অভিযুক্ত। এর আগে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, ওই সিভিক ভলান্টিয়র নিজের দোষ কবুল করেছিল। এমনকি বলতে শোনা গিয়েছিল, “ফাঁসি দিলে দিন”। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে পড়তেই কার্যত একাধিকবার বয়ান বদল করছে অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, কখনও বলছেন, ঘটনার দিন তিনি সেমিনার রুমে যাননি। উঁকি মেরে দেখেছিলেন শুধু। ফলত, বয়ান বদল করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে জানা যাচ্ছে সিবিআই সূত্রে। সেই কারণেই অভিযুক্তের পলিগ্রাফ টেস্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেছেন গোয়েন্দারা।