Weight Loss Tips: বিশ্বজুড়ে মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে ওজন বৃদ্ধির সমস্যা। ওজন বৃদ্ধির কারণে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ। ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে হৃদরোগ এবং কিডনির সমস্যা থেকে শুরু করে হাঁটুর সমস্যা। এরকম একাধিক শারীরিক সমস্যার মূলে রয়েছে অতিরিক্ত ওজন। যার ফলে ওজন কমানোর বা উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ওজন রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা। ওজন কমানোর জন্য বা সঠিক ওজনের জন্য সাধারণত খাওয়ার উপর নজর দিতে বলেন চিকিৎসক ও ডায়েটিশিয়ানরা। অতিরিক্ত তেল ও মশলা যুক্ত খাবার না খাওয়া বা বাইরের খাবার একদম বন্ধ করে দেওয়ার মতো নানারকম পরামর্শ দিয়ে থাকেন তাঁরা। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন কমানোর বা সঠিক ওজনের জন্য খাবারের পাশাপাশি পানীয়র দিকেও নজর দেওয়া উচিত।
পানীয় গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার প্রধান কারণ হল খাবারে লাগাম দিলেও দিনভর জল অথবা অন্য ধরনের পানীয়তে সব সময় লাগাম দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা। প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি থাকে পানীয়তে। তাই সেদিকে নজর না রাখলে গোটা চেষ্টাটাই মাটি, এমনটাই বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই আছেন যারা সারাদিনে নানাধরনের ঠান্ডা পানীয় খেয়ে থাকেন। ঠান্ডা পানীয়র মাধ্যমে প্রচুর শর্করা যায় শরীরে। ফলে শরীরে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়। এছাড়া বেশি চিনি দিয়ে চা বা কফি খেলেও একই ঘটনা ঘটে। এর ফলে বাড়তে থাকে ওজন। তবে প্রয়োজনমতো জল খেতে হবে দিনভর। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও পাচনপ্রক্রিয়া ঠিক থাকে। এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। এর পাশাপাশি জেনে নেওয়া দরকার কোন ধরনের পানীয় শরীরের জন্য উপকারী।
- চা আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় পানীয়। তাই অনেক ধরনের চা আমাদের দেশে পাওয়া যায়। এর মধ্যে হার্বাল চা (herbal tea) খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই ধরনের চা।
- গোটা ফল খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। তবে অনেকেই আছেন যারা ফল খেতে পছন্দ করেন না। তারা ফলের রস করে খেতে পারেন। কিন্তু ফলের রস তৈরি করার সময় মাথায় রাখতে হবে তাতে অতিরিক্ত চিনি মেশানো যাবে না।
- এছাড়া এক গ্লাস জলে ফলের টুকরো ভিজিয়ে রেখে খাওয়া যেতে পারে। যেমন স্ট্রবেরি বা কমলা লেবু বা পাতি লেবুর টুকরো। জলে ফলের টুকরো ভিজিয়ে রাখলে ফলের ভিটামিন, ফলেট এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট জলে মিশে যাবে। এই জল ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- প্রতিদিনের ডায়েটে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হয় দুধ। ইদানিংকালে বিভিন্ন টোনড মিল্ক (tonned milk) বা স্কিমড মিল্ক (Skimmed Milk) বাজারে পাওয়া যায়। দুধের থেকে স্নেহপদার্থ ছেঁকে বের করা হয় এই ধরনের দুধে। প্রতিদিনের ডায়েটে এই ধরনের দুধ ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
- শরীরের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে প্রোটিন শেক (protein shake)। প্রোটিন শেকে ফ্যাটের পরিমাণ অনেক কম থাকে। শরীরে ফ্যাট অক্সিডেশনের মাত্রাও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে প্রোটিন শেক।
তবে উপরিউক্ত পানীয়গুলি নিজেদের ডায়েটে যুক্ত করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন। বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে সঠিক নিয়ম মেনে চললে কোন সমস্যা ছাড়াই দ্রুত ওজন কমানো বা সঠিক ওজনে নিজের শরীরকে নিয়ে আসা সম্ভব।
আরও পড়ুন
Solar Eclipse 2022: বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ, কী প্রভাব পড়বে?