Calcium Deficiency: ক্যালসিয়াম আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাড়কে শক্তিশালী করতে, স্নায়ু, রক্ত, পেশী এবং হার্টের দুর্বলতা দূর করতে ক্যালসিয়াম খুব জরুরি। আমাদের দেহে হাড় ও দাঁতে ৯৯ শতাংশ ক্যালসিয়াম এবং ১ শতাংশ ক্যালসিয়াম রক্ত ও মাংস পেশীতে থাকে। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বেশি হয়। শিশুকে দুগ্ধপান করানো মহিলা এবং ৪০ বছরের বেশি বয়সের মহিলাদের মধ্যে প্রায়শই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হতে দেখা যায়, তাই তাঁদের নিজের খাওয়া-দাওয়া সম্পর্কে বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। তাঁরা চাইলে শরীরে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির জন্য ট্যাবলেট নিতে পারেন। এগুলি ছাড়াও তাঁরা নিজেদের ডায়েটে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতেও পারেন। ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ কী কী এবং শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে কীভাবে পূরণ করতে হবে তা জানুন।
শরীরে ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ:
১. শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় দুর্বল ও বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে।
২. যখন শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয় তখন মাংসপেশীর মধ্যে ক্রাম্পস (muscle cramps) হয়।
৩. স্মৃতিশক্তিও হ্রাস পেতে থাকে।
৪. দেহ অসাড় হয়ে যেতে পারে।
৫. দাঁত দুর্বল হয়ে পড়ে।
৬. মহিলাদের পিরিয়ডে সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।
৭. ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে রক্ত জমাট বাঁধাতেও শুরু হয়।
শরীরের কতটা পরিমাণ ক্যালসিয়াম প্রয়োজন?
– বাড়ন্ত বয়সের বাচ্চাদের জন্য প্রতিদিন ৫০০-৭০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।
– যৌবনকালে প্রতিদিন ৭০০-১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন
– গর্ভবতী মহিলাদের জন্য প্রতিদিন ১০০০-১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।
– শিশুকে দুগ্ধপান করানো মহিলাদের জন্য প্রতিদিন প্রায় ২০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।
ক্যালসিয়ামের প্রধান উৎস:
১. ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করার জন্য ডায়েটে দুধ, ব্রকলি এবং টফু অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, এগুলি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ।
২. এক চামচ তিলে প্রায় ৮৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে। তাই এটি স্যালাড, খাবার বা স্যুপে মিশিয়ে খাওয়া উচিত।
৩. এক গ্লাস উষ্ণ চলে এক চামচ জিরে মেশানোর পর সেই জল পরিশোধন করে পান করা উচিত, দিনে ২-৪ বার জিরে মেশানো জল পান করলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হতে পারে।
৪. বাদাম খেলেও শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব।
৫. খাবারে সবুজ শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
৬. যারা আমিষ (Non-veg) জাতীয় খাবার খান তাঁরা সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। সালমন (Salmon), টুনা (Tuna), ম্যাকেরল (Mackerel) খাওয়া উচিত, এছাড়াও যেকোনো মাছ খাওয়া যেতে পারে।
৭. ফলের মধ্যে প্রতিদিন দুটি করে কমলালেবু খাওয়া উচিত, এটি শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।
৮. ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি শরীরে ভিটামিন ডি৩ -এরও প্রয়োজন হয়, এটি শরীরকে ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে।