গতকাল লুসায়িল স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়েছিল কাতার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার শেষ লড়াই। পর্তুগাল বনাম সুইজারল্যান্ড। রোনাল্ডোহীন পর্তুগাল ৬-১ গোলে জিতে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল রাউন্ডে পৌঁছায় । এই একটি ম্যাচে ভেঙ্গে দিয়েছে একাধিক বিশ্বরেকর্ড। সৃষ্টি করেছে নতুন নজির। স্পট লাইটের কেন্দ্রবিন্দুতে পর্তুগালের গনজালো র্যামোস।
মাত্র ২১ বছর বয়সী র্যামোস এর এটাই প্রথম বিশ্বকাপ। নিজের প্রথম বিশ্বকাপেই পর্তুগালর শিবিরের কপালে ভাঁজ ফেলে দিয়েছেন তিনি। রোনাল্ডোর পরিবর্ত হিসেব মাঠে নামেন গতকাল। একের পর এক রেকর্ড গড়লেন। পর্তুগালের জয় নিশ্চিত করেই রোনাল্ডোকে তার জায়গা ফিরিয়ে দেন র্যামোস। কোচ স্যান্টস আগামী কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে কাকে পাঠাবেন বাজিমাত করতে সেই প্রশ্নই এখন তুঙ্গে।
মাত্র ২১ বছর বয়সী পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গঞ্জালো র্যামোস কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ এর প্রথম হ্যাটট্রিক করা প্লেয়ার হলেন। এখানেই শেষ নয় এর সাথে ফুটবল বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করা দ্বিতীয় তরুণ খেলোয়াড় হলেন। এই তালিকায় প্রথম নাম পেলে। যিনি ১৭ বছর বয়সে হ্যাটট্রিক করেছিলেন।
২১ বছর বয়সী পর্তুগালের গঞ্জালো র্যামোস ১৯৯০ সালের পর প্রথম ফুটবলার হিসাবে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে হ্যাটট্রিক করেছেন । দীর্ঘ ৩২ বছরের রেকর্ডও ভেঙ্গে দেয় এই তরুণ খেলোয়াড়।
বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই হ্যাটট্রিক করে র্যামোস। একই কৃতিত্ব এর আগে ছিল একমাত্র জার্মানির ফুটবলার মিরোস্লাভ ক্লোজের। যিনি ২০০২ সালে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন। অর্থাৎ দীর্ঘ ২০ বছর নতুন নজির গড়লেন র্যামোস।
কোয়াটার ফাইনালে উত্তীর্ণ হওয়ার কোয়ালিফাইং ম্যাচে গোটা লুসিয়াল স্টেডিয়াম যখন রোনাল্ডো শব্দে ফেটে পড়েছিল, তখন সকলকে চমকে রোনাল্ডোর পরিবর্তে মাঠে নামেন গঞ্জালো র্যামোস। সুইজারল্যান্ড এর বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে তিনটি গোল করেন তিনি। ম্যাচের ১৭ মিনিটেই সুইস গোলকিপারকে চমকে দিয়ে প্রথম গোলটি করে র্যামোস। এর পর ৫১মিনিট ও ৬৭ মিনিট এ আরও দুটি গোল করে এই তরুণ ফুটবলার।
এর আগে মাত্র একটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচে রোনাল্ডর জায়গায় খেলেছিলেন র্যামোস। সেদিনও গোল করেন। কিন্তু গতকালের ম্যাচে প্রথম থেকেই মাঠে দেখা যায় তাকে। ম্যাচের যখন ৭২ মিনিট, স্কোর সিটে পাঁচ’টি গোল পর্তুগালের দখলে, রোনাল্ডো তখন মাঠে নামেন। জায়গা ছেড়ে দিতে হয় রামোস কে। এরপরে ৬-১ গোলে জয় ছিনিয়ে নেয় পর্তুগাল। উত্তীর্ণ হয় কোয়ার্টার ফাইনাল রাউন্ডে।
পর্তুগালের পরবর্তী বিপক্ষ মরক্কো। মরক্কো তার ডিফেন্সের বলে স্পেনের আক্রমণ রুখে দিয়েছে। পেনাল্টিতে গোল করে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করেছে তারা। পর্তুগালের মতো ভয়ানক স্ট্রাইকাররা মরক্কোর ডিফেন্স ভাঙতে পারে কিনা সেটাই দেখার। তবে মরক্কো এই ডিফেন্স ভাঙতে রোনাল্ডো ও র্যামোস এর মধ্যে কাকে ব্যবহার করবে পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো স্যান্টস সেই দিকেও তাকিয়ে থাকবে ফুটবল মহল।