জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাতে মাথা নত করেননি তিনি ।মেয়েকে মানুষ করার সদিচ্ছা তাঁকে মনে জোর জুগিয়েছে। এবার তাঁর জীবন সংগ্রাম কে সম্মান জানালো জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো দিদি নাম্বার ওয়ান (Didi No. 1)। বর্ধমানের দইবড়া দিদি (Dahi Vada Didi) তাঁর জীবন যুদ্ধের গল্প সকলের কাছে শিক্ষণীয়। অদম্য মনের জোর, মেয়ের ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে অবিচল সংকল্পকে মঙ্গলবার কুর্নিশ জানানো হয় দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে।
বিজ্ঞানে স্নাতক বর্ধমানের বাজে প্রতাপপুরের বাসিন্দা সুনীতা চৌধুরী (Sunita Chowdhury) কী করে হয়ে উঠলেন শহরের সবার প্রিয় দইবড়া দিদি। ২০০০ সালে বর্ধমানের উদয়চাঁদ মহিলা কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক হন সুনীতা। স্নাতকোত্তর করার ইচ্ছে থাকলেও বাড়ির চাপে তাঁকে বসতে হয় বিয়ের পিঁড়িতে। ঝাড়খণ্ডে বিয়ে হয় তাঁর। কিন্তু বিয়ের পরই ঘটে ছন্দপতন। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে তাঁর জীবন। অবশেষে ন’বছরের ছোট মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ১৭ বছরের দাম্পত্য জীবন থেকে বেরিয়ে আসতে হয় তাঁকে। তারপরই শুরু হয় তাঁর জীবন সংগ্রাম। ফিরে আসেন বর্ধমানে বাপের বাড়িতে। এক হাতে সংসার সামলানো এবং মেয়েকে মানুষ করার তাগিদে দইবড়া তৈরি করে, সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন দইবড়া বিক্রি করতে শহরের রাস্তায়। এভাবেই নিজের ও নিজের সংসার চালাচ্ছেন সুনীতা। বর্ধমানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা “Burdwan Foodies Club”-এর মাধ্যমে সুনীতার এই জীবন সংগ্রামের কাহিনী সবার সামনে উঠে আসে। পরে সংবাদমাধ্যমেও তাকে নিয়ে খবর হয়। তাঁর দিদির শেখানো দইবড়াই এখন সুনীতার রোজগারের পথ। তাঁর দইবড়ার খ্যাতি এখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন