একটি বেসরকারি হাসপাতালে সোমবার ১৭ অক্টোবর ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হন প্রদীপ পান্ডে(৩২)। তার শরীরে প্লেটলেট বা অনুচক্রিকার সংখা অনেক কমে যাওয়ায় প্লাসমা ড্রিপ দেওয়া হয়, কিন্তু এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আশায় তার পরিবারের লোকজন তাকে অন্য আর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। এখানেই ১৯ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়, এবং এই দিতীয় হাসপাতালের চিকিৎসক মৃতের পরিবারকে ‘প্ল্যাটলেট’ ব্যাগটি নকল বলে জানায়। এই ব্যাগ আসলে রাসায়নিক ও মৌসুমবির রসের মিশ্রণে তৈরি যার কারণে মৃত্যু হয় রোগীর। এরপর রোগীর পরিবার দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে আবেদন জানায়।
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের এই ঘটনা সোশাল মিডিয়ার একটি ভিডিওর মাধমে সামনে আসে, যেখানে ব্লাড ব্যাংকের প্যাকেটে লেখা দেখা যায় এসএনআর হাসপাতাল, প্রয়াগরাজের নাম। ক্যাপশন দেয় “প্রয়াগরাজে বিব্রত মানবতা। একটি পরিবারের অভিযোগ ঝালওয়ার গ্লোবাল হাসপাতাল ডেঙ্গু রোগী প্রদীপ পান্ডেকে প্লাজমার পরিবর্তে দেয় মৌসুমবি জুস। যার কারণে মারা গেছে রোগী। দয়া করে বিষয়টির তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিন”।
https://twitter.com/VedankSingh/status/1582750392513081344?s=20&t=sJPQTtl87Ym8D8YV1yC-Bw
এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তে নজর যায় প্রশাসনের। উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেন “হাসপাতালে একজন ডেঙ্গু রোগীকে প্লেটলেটের পরিবর্তে মৌসুমবি রস দেওয়ার ভিডিওটি বিবেচনা করে আমার নির্দেশে হাসপাতালটি সিল করে দেওয়া হয়েছে এবংপরীক্ষার জন্য প্লেটলেট প্যাকেটগুলি পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালটি দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
https://twitter.com/brajeshpathakup/status/1583080912019140608?s=20&t=XMYK3gp-7PdSYxvMGPqO-A
এক বিবৃতিতে প্রয়াগরাজের অতিরিক্ত-মুখ্য মেডিকেল অফিসার বলেছেন মুখ্য মেডিকেল অফিসারের নির্দেশে অভিযুক্ত হাসপাতালটি সিল করা হয়েছে এবং নমুনার পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে একটি বিবৃতিতে হাসপাতালের মালিক জানান, রোগীর প্লেটলেটের মাত্রা ১৭,০০০-এ নেমে যাওয়ায় “তার পরিবারকে রক্তের প্লাটিলেটের ব্যবস্থা করতে বলা হয়। তারা একটি সরকারি হাসপাতাল থেকে পাঁচ ইউনিট প্লেটলেট নিয়ে আসেন, এর তিন ইউনিট ব্যবহারের পর রোগীর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাই আমরা এর ব্যাবহার থামিয়ে দি”। তিনি আরও বলেন তারা তদন্ত সমর্থন করেন।
মৃত প্রদীপ পান্ডের পরিবার গ্লোবাল হাসপাতালের কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। জেলা শাসক সঞ্জয় কুমার খাত্রী বলেন, “এর তদন্ত চলছে এবং প্লেটলেট গুলিও পরীক্ষা করা হবে।”