ভারত মূলত কৃষি প্রধান দেশ। এখানে সরকারি চাকুরিজীবী মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নয়। বেশিরভাগ মানুষই চাষবাস আর ছোট ব্যাবসার ওপর নির্ভর করে ঘর চালিয়ে থাকে। তাই সরকারি চাকরিজীবীদের মতো বার্ধক্য বয়সে আর্থিক সঙ্গতি সকলের থাকে না। তাই সরকার পাবলিক প্রবিডেন্টের আওতায় এমন পেনশন প্রকল্প নিয়ে এসেছে, যাতে বৃদ্ধবয়সে ঘরে বসেই পেনশন পাবেন ৫০০০০ টাকা।
২০১৪ সালে বিজেপি প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর দেশের প্রান্তিক মানুষদের আর্থিক সংকট কাটাতে বেশ কয়েকটি প্রকল্প পরিকল্পনা করে। এই প্রকল্পগুলির তালিকায় রয়েছে- অটল পেনশন যোজনা, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, পাবলিক প্রবিডেন্ট ফান্ডের সহ একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প। সাধারন মানুষ স্বাচ্ছন্দেই এইসব প্রকল্পগুলির পরিসেবা গ্রহণ করে আসছে।
বর্তমানে পি.পি.এফ(ppf) অ্যাকাউন্টের কথা প্রায় সকলেই জানেন। কারণ পিপিএফ বা পাবলিক প্রবিডেন্ট ফান্ড মূলত বৃদ্ধ বয়সে মানুষকে আর্থিক ভাবে সঙ্গতি দেওয়ার কথা চিন্তা করেই তৈরি করা হয়েছিল। এরফলে বৃদ্ধবয়সে জীবনকে আর্থিক ভাবে নিরাপদ রাখতে দেশের অনেক মানুষই বর্তমানে পিপিএফ এর সুবিধা গ্রহণ করেছেন। অটল পেনশন যোজনার সুবিধাও পাচ্ছেন দেশের একাধিক প্রান্তিক দিন মজুর। তবে এবারের প্রকল্পে ঘরে বসেই আপনার পেনশনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৫০ হাজার টাকা।
পিপিএফ এর আওতায় সরকারি তরফে ঘোষণা করা হয়েছে আরও একটি প্রকল্পের। এই প্রকল্পর আওতায় ১৮ বছর থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত যদি কোনও ব্যক্তি প্রতিমাসে নিয়ম করে একটা নির্দিষ্ট পরিমান টাকা সরকারের ঘরে জমাতে পারেন, তাহলে ওই ব্যক্তির বয়স ৬০ বছর পার হওয়ার পর তিনি প্রতিমাসে পেনশন পাবেন।
এবার একঝলক নজর দেওয়া যাক, সেইসকল পদ্ধতিগুলির দিকে যা আপনাকে এই পেনশনের উপযোগী করে তুলবে –
- সাধারণত ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়স অব্দি কোনও ব্যক্তি যদি প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে জমান তাহলে ৬০ বছর বয়সের পর ওই ব্যক্তির মোট টাকার পরিমাণ হবে ৫ লক্ষ ৪ হাজার টাকা। এর সঙ্গে বার্ষিক ১০ শতাংশ রিটার্নও পাওয়া যাবে।
- এই সুবিধা পেতে গেলে কোনো ব্যাক্তিকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিমাসে নিয়ম করে সরকারের ঘরে টাকা জমাতে হবে। ওই ব্যক্তির ৬০ বছর পর্যন্ত জমাকরা টাকার ওপর সরকার সুদ সহ ওই ব্যক্তিকে মোট টাকার ওপর প্রতিমাসে পেনশন প্রদান করবে।
- ব্যক্তিটি যদি কোনও কারণে মারা যান তাহলে ওই ব্যক্তির নামাঙ্কিত নমিনি কে সরকার সুদ সহ এককালীন সব টাকা ফেরত দেবে।
- প্রকল্পটি দেশের সবক’টি ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসে উপলব্ধ রয়েছে। অর্থাৎ নিকটবর্তী যেকোনো রাস্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিসে গিয়ে কোনও ব্যক্তি এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।
- এই প্রকল্পে জমা হওয়া টাকা কর মুক্ত বা ট্যাক্স ফ্রি হবে ।
- নির্দিষ্ট ব্যক্তিটিকে যে কোনও পোস্ট অফিস কিংবা ব্যাঙ্কের শাখায় নিজের নামে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
বৃদ্ধ বয়সে নিজের জীবনকে অর্থিক ভাবে সুরক্ষিত রাখতে এখনই চলে যান আপনার নিকটবর্তী ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে। সরকারের এই প্রকল্পগুলির সহায়তায় আপনার বার্ধক্য জীবন আনন্দে কাটুক।