বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল গতকালই । এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে গতকালের সাক্ষাৎ ঘিরে ওঠা যাবতীয় বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আজ নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট করে জানান, একতরফা ভাবে তাঁকে অসম্মান করা হয়েছে।
এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন , প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমকে অসত্য তথ্য দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর।
তিনি জানান , তাঁর কর্মসূচি ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রীর সফরের কথা ঘোষণা করা হয়। সেই কারণে তাঁকে ঘূর্ণিঝড়-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার কর্মসূচি কাটছাঁট করতে হয়।
মমতা আরও বলেন, এটিসি থেকে তাদের জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামবে। তাঁর হেলিকপ্টার প্রায় ২০ মিনিট আকাশে চক্কর কাটে। প্রায় ১৫ মিনিট পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১ মিনিটের জন্য দেখা করতে চান তিনি।
তিনি জানান, এরপর দেখা করতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর এসপিজি একঘণ্টা পর সাক্ষাতের কথা বলেন । তারপর দীর্ঘক্ষণ তাদের অপেক্ষা করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, আগে জানানো হয়েছিল, শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক হবে। কিন্তু পরে দেখা যায় রাজ্যপাল, বিরোধী দলনেতা সবাই রয়েছেন।
মুখ্যসচিবকে নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষতির খতিয়ান তুলে দেন এবং আবহাওয়া খারাপ থাকায় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন সেদিন, বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এরপরেও কেন অসত্য তথ্য দিয়ে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, এতে তাহলে তাঁর দোষ কোথায় ?
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন,প্রধানমন্ত্রী কেন সংসদে বিরোধীদের বলতে দেন না? ২ সপ্তাহ আগে গুজরাতে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে কেন বিরোধী নেতা ছিলেন না? অথচ ওড়িশার দুর্যোগ বৈঠকে বিরোধী দলনেতা ছিলেন কেন ?
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মমতা আরও বলেন, বাংলার মানুষের রায় মেনে নিন, অপমান করবেন না।
অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে কাজে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে কীভাবে বদলির নির্দেশ দেওয়া হল ? বাংলার উপরে এত রাগ কেন? আলাপন বাঙালি বলে এত রাগ? আজকের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান দয়া করে এই নোংরা খেলা খেলবেন না, মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বন্ধ করুন। দয়া করে এই চিঠি প্রত্যাহার করে নিন।