বছর দু’য়েক আগেই বিশ্বকে এক মৃত্যু মিছিলের সাথে পরিচিয় করিয়েছিল করোনা। সেই গ্রাফ আবারও ঊর্ধ্বমুখী। বিশ্বজুড়ে বাড়ছে আতঙ্কের বিভীষিকা। দফায় দফায় বৈঠক বসছে। চীন থেকে করোনার বীজ ছড়িয়ে পড়ছে ভারত, জাপান সহ একাধিক দেশে। তবে শুধু করোনাতেই স্থগিত নেই সংক্রমণ। সামনে এসেছে আরো একটি নতুন ভাইরাস। করোনার এই নতুন বংশধরের নাম BF.7। বর্তমানে দেশ জুড়ে দেখা দিচ্ছে ভ্যাকসিন সংকট।
দেশে বাড়ন্ত ভ্যাকসিনের সংখ্যা। রাজ্যেও পর্যাপ্ত কোভিশিল্ড নেই। সূত্রের খবর, দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের থেকেই একমাত্র টিকা সরবরাহের আবেদন এসেছে। বর্তমানে স্বাস্থ্য দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কাছ থেকে উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে বাগবাজার সেন্ট্রাল ভ্যাকসিন স্টোর।
কোভিড মোকাবিলায় আগামী ২৭ শে ডিসেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী মক ড্রিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ভারত সরকার বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলিতে জরুরি মক ড্রিল এবং বুস্টার ডোজের অনুমোদন সহ একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
একা কোভিডেই শান্ত নেই। সাধারন মানুষের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট BF.7। রাজ্যে অমিল নতুন ভাইরাসের ভ্যাকসিন।নতুন ভ্যাকসিন তো দূর,বাগবাজার ভ্যাকসিন স্টোরে এখন কোভিশিল্ড এরই মন্দা চলছে।কোভ্যাক্সিনের ২১হাজার ৬৩০টি ডোজের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ডিসেম্বরেই।
গত শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়ে অক্সিজেনের নিয়মিত সরবরাহ নিশ্চিত করার সতর্ক বার্তা দিয়েছে।সঙ্গে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে নিয়মিত মেডিক্যাল অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করাকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের । এখনও পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৬৭৮ জন। যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৬৯০ জনের।
চিনে ফের ভয়ঙ্কর হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। লন্ডনের গবেষণাকারী সংস্থা এয়ারফিনিটির রিপোর্ট অনুযায়ী চিনে এক দিনে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে, যার মধ্যে অন্তত ৫ হাজার জনের মৃত্যু হচ্ছে। । এই ব্রিটিশ সংস্থাটির মন্তব্যে সামনের জানুয়ারিতেই চিনের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হতে পারে সাড়ে ৩০ লক্ষেরও বেশি।
চিনের পরে জাপানেও বৃদ্ধি পেয়েছে করোণার গ্রাফ। সেখানে দেখা দিয়েছে করোনার অষ্টম ঢেউ। জাপানে একদিনে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় ২লক্ষ ৭ হাজার মানুষ । চিন, জাপান, ভারত ছাড়া অন্যান্য দেশেও কোভিড এর হঠাৎ বৃদ্ধি চিন্তায় ফেলছে। গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ কোটি ৬৫ লক্ষ ৮৪ হাজার ৩৬৩। মৃত্যু হয়েছে ৬৬ লক্ষ ৭৭ হাজার ২৬৬ জনের। বিভিন্ন সরকারি বেসকারি পরিসেবা,প্রতিষ্ঠান, গুলিতে ফের শুরু হয়েছে কভিড বার্তা।