Friday, March 29, 2024

Kishore Kumar Birth Anniversary: কাকার ক্যান্টিনের “পাঁচ রুপাইয়া বারা আনা” ধার পরবর্তীতে হয়ে উঠেছিল কিশোর কুমারের কন্ঠে জনপ্রিয় গান

Kishore Kumar Birth Anniversary: ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তী শিল্পী কিশোর কুমারের জন্ম হয়েছিল ১৯২৯ সালের ৪ অগাস্ট। আজ এই বহুমুখী প্রতিভার ৯২ তম জন্মদিন। কিশোর কুমারের জন্ম মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়ায়। তাঁর বাবা কুঞ্জলাল গঙ্গোপাধ্যায় পেশায় আইনজীবী ছিলেন। কিশোর কুমার (Kishore Kumar) চার ভাই বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোটো ছিলেন। কিশোর কুমারের আসল নাম হল আভাস কুমার গঙ্গোপাধ্যায় (Abhas Kumar Ganguly)।

ভারতীয় সিনেমার উজ্বলতম নক্ষত্র হলেন কিশোর কুমার। তাঁর মতো বহুমুখী প্রতিভাশালী শিল্পী ভারতীয় সিনেমায় বিরল। নাচ,গান, অভিনয় সবদিকে সমান পারদর্শী ছিলেন কিশোর কুমার। তিনি এমন একজন শিল্পী ছিলেন যিনি পর পর আটবার ফিল্মফেয়ার আ্যওর্য়াড পান।

কিশোর কুমার ‘বম্বে টকিজে’ (Bombay Talkies) কোরাস সিঙ্গার হিসেবে বলিউড জগতে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। সেই সময় বলিউড ইন্ডাস্ট্রির বড় স্টার ছিলেন তাঁর দাদা অশোক কুমার। অশোক কুমারের (Ashok Kumar) ইচ্ছে ছিল ভাই কিশোর কুমার তাঁর মতোই যেন অভিনেতা হয়। তবে কিশোর কুমারের মন পড়েছিল গানের দিকে।

হিন্দি সিনেমায় কিশোর কুমারের মতো গায়ক সেই সময়েও কেউ ছিল না, আর এখনও কেউ নেই। কিশোর কুমার অভিনীত সিনেমা এবং ওনার গাওয়া গানের মধ্যে দিয়ে ওনার প্রানবন্ত ভাবমূর্তি ও কণ্ঠের জাদু আজও সবাইকে মোহিত করে রাখে। কিশোর কুমার তাঁর জীবনে শতাধিক সুপারহিট গান গেয়েছেন। তাঁর অনেক গানের পেছনে মজার গল্প লুকিয়ে আছে, যেমন ‘মেরে সামনে ওয়ালি খিড়কি’ বা ‘পাঁচ রুপাইয়া বারা আনা’ গানটি।

“চলতি কা নাম গাড়ি” (Chalti Ka Naam Gaadi) ছবিতে কিশোর কুমারের গাওয়া “পাঁচ রুপাইয়া বারা আনা” (Paanch Rupaiya Baara Aana) গানটি সুপারহিট হয়েছিল। কিশোর কুমার এবং মধুবালার বাবলী স্টাইল এই গানে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এই গানের গল্প কিশোরদার কলেজের সঙ্গে সম্পর্কিত। কিশোর কুমার ইন্দোরের (Indore) ক্রিশ্চিয়ান কলেজে (Christian College) পড়াশোনা করতেন। চার নম্বর কক্ষ, কলেজ ক্যাম্পাসের তেঁতুল গাছ, কাকার ক্যান্টিন এবং হোস্টেলের গ্যালারিতে পড়ে থাকা বেঞ্চটি আজও কিশোর কুমারের স্মৃতি বহন করে চলেছে।

কলেজের সঙ্গে যুক্ত লোকেরা আজও বলেন কিশোরদা কাকার ক্যান্টিন থেকে পোহা এবং জিলাপি খেতে পছন্দ করতেন। কলেজে পড়াশোনা করার সময়, তিনি সেখান থেকে ধারে চা, পোহা এবং জিলাপি খেতেন। এইভাবে ধারে খাওয়ার কারণে, ক্যান্টিনের কাকার কাছে কিশোরদার ৫ টাকা ১২ আনার ঋণ হয়ে গিয়েছিল। যখনই ক্যান্টিনের কাকা তাঁর কাছে টাকা চাইতেন, তখন কিশোর দা তাঁর নিজস্ব স্টাইলে গান গাইতেন, ‘পাঁচ রূপাইয়া বারা আনা … মারেগা কাকা.. না … না..না ..’ । এই গানটিই পরবর্তী সময়ে “চলতি কা নাম গাড়ি” ছবিতে ব্যবহার করা হয়, যেখানে কিশোরদা গেয়েছিলেন মারেগা ভাইয়া না..না … না ..। কিশোরদা কখনো এই ঋণ শোধ করেননি। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অর্থ উপার্জন করার পরও তাঁর উপর কাকার ক্যান্টিনের ঋণ থেকে গিয়েছিল।

‘মেরে সামনে ওয়ালি খিড়কি’ (Mere Samne Wali Khidki Mein) গানটির পেছনেও এমনই একটি গল্প রয়েছে। শোনা যায়, কলেজের দিনগুলিতে কিশোর কুমার নিজের হোস্টেলের জানালায় বসে মেয়েদের হোস্টেলের দিকে তাকিয়ে এই গানটি গুনগুন করতেন। এই গানটি পরবর্তী সময়ে কমেডি ফিল্ম ‘পড়োসন’ -ছবিতে নেওয়া হয়েছিল। ‘মেরে সামনে ওয়ালি খিড়কি মে এক চাঁদ কা টুকরা রহতা হে’ গানটি তাঁর অন্যতম সুপারহিট গান। এছাড়াও শোনা যায়, কিশোর কুমারের অনেক গান ক্রিশ্চিয়ান কলেজে সৃষ্টি হয়েছে। তিনি প্রায়ই তেঁতুল গাছের নিচে বসে রেয়াজ করতেন।

অভিনেতা হিসেবে কিশোর কুমার বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন ১৯৪৬ সালের ‘শিকারী’ (Shikari) ছবিতে। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তাঁর দাদা অশোক কুমার। প্রসঙ্গত, ১৯৪৬-১৯৫৫ সালের মধ্যে কিশোর কুমার মোট ২২টি ছবিতে কাজ করেছিলেন। যার মধ্যে ১৬টি ছবি ফ্লপ হয়েছিল। তবে পরে ‘লড়কি’ ও ‘বাপ রে বাপ’ ছবিগুলির মাধ্যমে সাফল্য পাওয়ার পর অভিনেতা হিসেবে তাঁকে গুরুত্ব দিতে শুরু করেন পরিচালক এবং প্রযোজকরা।

আরও পড়ুন

সুরের জাদুকর, সকলের প্রিয় পঞ্চম দা ছিলেন বিস্ময় প্রতিভা

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Stay Connected

3,541FansLike
3,210FollowersFollow
2,141FollowersFollow
2,034SubscribersSubscribe
- Advertisement -

Latest Articles