আশেপাশের মনোরম পরিবেশ, নীল আকাশ, প্রকৃতির নানা রূপ বদল। যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে “বসন্ত এসে গেছে”। আর বসন্ত মানেই বসন্ত উৎসব বা দোল (Holi)। রঙের উৎসব। লাল, নীল, হলুদ, সবুজ আবির আরও আরও কত কি। তাতেই মেতে উঠতে চলেছে বাংলার রঙ প্রিয় মনগুলি। আর কয়েক দিন বাদেই পালিত হতে চলেছে এই বসন্ত উৎসব। সারা দেশের সঙ্গে বর্ধমান (Burdwan) শহরও প্রস্তুত হচ্ছে রঙের উৎসবে নিজেকে রাঙিয়ে তুলতে।
বর্ধমানে মহারাজার আমল থেকেই প্রথা মেনে দোলের পরের দিন পালিত হয় দোল উৎসব। এবার আগামী ১৮ ও ১৯ মার্চ প্রায় দুদিন ধরেই পালিত হতে চলেছে দোল বা হোলির উৎসব। করোনা আতঙ্ককে সাময়িকভাবে দূরে সরিয়ে রেখে এই উৎসবের আনন্দে মেতে উঠবে বর্ধমানবাসিরা। সেই উৎসবকে আরও রঙিন করে তুলতে এগিয়ে এসেছে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ। প্রচেষ্টা সেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে আলমগঞ্জ মোটা শিবতলা পার হয়ে তেওয়ারী বাগান মাঠে আয়োজিত হচ্ছে দোল উৎসব। ১৮ মার্চ, শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত পালিত হবে এই উৎসব। প্রবেশের জন্য থাকছে মূল্যের বিনিময়ে পাশ। গান, নাচ, আবির সহ নানা আকর্ষণীয় বিষয় থাকছে।
বর্ধমানের আলমগঞ্জ কল্পতরু মাঠে ১৯ মার্চ হোলি উপলক্ষ্যে ‘আবিরা’ (Abira) আয়োজন করেছে বিশেষ অনুষ্ঠান। ডিজে, গান, নাচ সহ নানা দেশি-বিদেশি কালচারের চমক থাকছে সেখানে। প্রবেশের জন্য থাকছে পাশের ব্যবস্থা। অন্যদিকে ১৯ মার্চ সকাল ৯টা থেকে হোলির দিনটি বিশেষভাবে উৎযাপন করতে চলেছে কালার হলিক (colour holic)। শুকনো রং, সাংস্কৃতিক নৃত্য পরিবেশনা, লাইভ পারফরমেন্স, ননস্টপ মিউজিক ইত্যাদির মাধ্যমে তারা সেইদিনটি উৎযাপন করবে। প্রবেশের জন্য থাকছে পাশের ব্যবস্থা। তবে এই পেইড ইভেন্টগুলি ছাড়াও হোলির দিনে জমজমাট থাকে বর্ধমানের টাউন হল ও গোলাপবাগ চত্বর। বন্ধু বা প্রিয় মানুষের সঙ্গে জমজমাটি আড্ডা দিতে পারেন সেখানে গিয়েও।