মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানে একই সঙ্গে দুই যমজ পাত্র-পাত্রীর বিয়ের সাক্ষী রইল অনুষ্ঠানে আগত সকল অভ্যাগতরা। পাত্র এবং পাত্রীরা হলেন – লব,কুশ এবং অর্পিতা ও পারমিতা। লবের সাথে বিয়ে হয়েছে পারমিতার এবং কুশের সাথে বিয়ে হয়েছে অর্পিতার।
সূত্রের খবর পারমিতা এবং অর্পিতার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের সোতখালি গ্রামে।
দুজনেরই সামান্য কিছু সময়ের অন্তরে জন্ম। অর্পিতা বড়ো এবং পারমিতা ছোট। দুজনেরই ছোট থেকে বড়ো হয়ে ওঠা একসাথে,একসাথে একই স্কুলে ভর্তি হওয়া এবং একই কলেজে পড়তে যাওয়া। দুজনেই ভাতার গার্লস স্কুলের ছাত্রী।
অর্পিতা এবং পারমিতা দুজনেই জানান দুজনেরই ইচ্ছা একই বাড়িতে একইসঙ্গে বিয়ে করার। পরিবারের লোকেদের এই ইচ্ছা জানাতেই তারা যমজ পাত্র দেখা শুরু করেন।
দুই বোন জানিয়েছেন, একই বাড়ির যমজ পাত্রের সঙ্গে দুজনের বিয়ে হওয়ায় তাদের সেই ইচ্ছাপূরণ হয়েছে।
পাত্রীর বাবা গৌরচন্দ্র সাঁতরা স্থানীয় একটি কারখানায় কর্মরত। তিনি নিজের দুই মেয়ের ইচ্ছার কথা জানতে পেরে যমজ পাত্র দেখা শুরু করেন। ঘটনাক্রমে পাত্র পক্ষও একই ভাবে যমজ পাত্রীর খোঁজ করছিলেন। দুই পাত্রের নাম লব পাকরে এবং কুশ পাকরে। পাত্র এবং পাত্রী পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ হতেই তারা সময় নষ্ট না করে তড়িঘড়ি বিয়ে দিয়ে দেন।
গত ৫ই ডিসেম্বর সোমবার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঘটা করে সম্পন্ন হয় তাদের বিয়ে। বিয়ের পোশাকের মধ্যেও পরতে পরতে মিল বজায় রেখেছিল দুই পক্ষই। দুই পাত্রই নীল রঙের পাঞ্জাবি পড়ে বিয়ের পিঁড়িতে হাজির হয়েছিলেন। অন্যদিকে, দুই যমজ বোন অর্পিতা ও পারমিতার শাড়ির রং, গয়নার নকশা, সাজের ধরন সমস্ত কিছুই অবিকল একই রকম ছিল। জোড়া যমজ পাত্র পাত্রীর বিয়ের এই বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই উৎফুল্ল আমন্ত্রিত অতিথিরাও।