বাবার আদলেই নিজেকে গড়তে চাইছেন অর্জুন তেন্ডুলকর। রঞ্জি ট্রফির অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরী করল অর্জুন । শচীন তেন্ডুলকর একমাত্র কমবয়সী খেলোয়াড় ছিলেন যিনি নিজের প্রথম ডেবিউ ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাকিয়েছিলেন। এবার তারই পুত্র অর্জুনের পালা।
গতবুধবার রঞ্জি ট্রফিতে গোয়ার হয়ে গোয়ার মাঠেই অভিষেক করে অর্জুন তেন্ডুলকর। গোয়া ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন একাডেমির মাঠে রাজস্থানের বিরুদ্ধে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামে জুনিয়র তেন্ডুলকর। ব্যাট হাতে সুপরিকল্পিত ইনিংসে শতরানের গণ্ডি টপকাতে তাকে মোকাবিলা করতে হয় ২০৭ টি বলের। অবশেষে কমলেশ নাগরকট্টির বলে ১২০ রানে থামতে হয় অর্জুনকে।
অর্জুনের সেঞ্চুরির ইনিংস সাজানো রয়েছে ১৬ টি চার ও দুটি ছক্কায়। পাশাপাশি ষষ্ঠ উইকেটে তিনি শ্রেয়াস প্রভুদেসাই এর সাথে ৩৭৪ বলে ২২১ রানের অদম্য পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। এখানে অর্জুনের ছিলো ১২০ রান এবং প্রভুদেসাই এর অবদান ৯৯।
অর্জুন তার বাবার যোগ্য উত্তরসূরি। ১৯৯৮ সালে শচীন তেন্ডুলকর ওয়াঙ্খেরেতে বোম্বের হয়ে নিজের প্রথম ডেবিউ ম্যাচেই অপরাজিত সেঞ্চুরি হাকিয়েছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। এবার একই রাস্তায় হাটলেন সচিন পুত্র অর্জুন। অর্জুন অপরাজিত না থাকেলও পার করেছেন শতরানের গণ্ডি।
রঞ্জি ট্রফিতে অর্জুন খেলে গোয়ার হয়ে। এদিন রাজস্থানের বিরুদ্ধে তার ইনিংসটি সত্যিই প্রশংনীয়। এর আগে গোয়ার হয়ে বিজয় হাজারে ও সাঈদ মুস্তাক আলী ট্রফিতে ভালো প্রদর্শন করে। আই.পি.এল এর ময়দানে অর্জুন কে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স শিবিরে গা ঘামাতেও দেখা যায়। শচীনও মুম্বাই শিবিরেই ক্রিকেট জীবনের শেষ দিন গুলি কাটিয়েছেন। তবে রেঞ্জি সিজেন শুরুর আগে মুম্বাই থেকে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট চেয়ে অর্জুন গোয়াতে যোগ দেন। শুরুটা বাবার অনুকরণে হলেও অর্জুন ভবিষ্যতে কতটা সফল হবে সেটা তার পাররমেন্সেই বিচার হবে।