‘কৃত্রিম ভাবে ছেঁড়া’ কোনও পোশাক পরা যাবে না কলেজ ক্যাম্পাসে। গত বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনই জানানো হয় কলকাতার (Kolkata) আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজ (Acharya Jagadish Chandra Bose College) কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। পড়ুয়া এবং কর্মী উভয়ের উদ্দেশেই এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এছাড়াও এই বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ করে কৃত্রিম ভাবে ছেঁড়া ট্রাউজার্সের উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতিতে বলা হয়েছে, কলেজের নির্দেশ অমান্য করে পড়ুয়াদের মধ্যে কেউ এমন পোশাক পরে কলেজে এলে তাঁকে ‘ট্রান্সফার সার্টিফিকেট’ (টিসি) দেওয়া হবে। কলেজের ওয়েবসাইট থেকে এই নির্দেশিকা সম্বন্ধে জানা গিয়েছে।
এখন ‘রিপ্ড জিন্স’-এর (Ripped Jeans) জনপ্রিয়তা তুমুল। যার ফলে পড়ুয়াদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে নেওয়া এই সিদ্ধান্তে। পড়ুয়াদের কথা অনুযায়ী, অশালীন পোশাক পরে কলেজে আসা নিষিদ্ধ করার যুক্তি মানা যেতে পারে। তবে রিপ্ড জিন্স নিষিদ্ধ করার নির্দেশ জারি করা অযৌক্তিক। এই ধরনের নির্দেশ জারি করা মানে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দে হস্তক্ষেপ করা।
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে মুম্বইয়ের (Mumbai) একটি কলেজে এমনই এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে কলেজ ক্যাম্পাসে ছেঁড়া জিন্স নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছিল। যদিও এমন নির্দেশিকা জারি করার পিছনে সামাজিক কারণ রয়েছে বলে দাবি করেছিল সেই কলেজ কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, এমন ধরনের পোশাক পরা মানে দরিদ্রদের ব্যঙ্গ করা। যাঁদের ইচ্ছা না থাকলেও ছেঁড়া পোশাক পরতে হয়, তাঁদের কটাক্ষ করা। তবে কলকাতার আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এমন নির্দেশিকা জারি করার পিছনে কী কারণ রয়েছে, সেই বিষয়ে এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন
দিন ঘোষণা ‘পরীক্ষা পে চর্চা’র, ফের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী