Thursday, April 25, 2024

Burdwan Medical College: যখন সবাই করোনার ভয়ে ইতস্তত, সেই সময় সাহস দেখিয়ে ছিলেন অস্থায়ী কর্মী মুনমুন

সেবাকেই জীবনের মূল মন্ত্র হিসাবে বেছে নিয়েছেন তিনি। বিগত বছর থেকে এখনও পর্যন্ত অত্যন্ত নিষ্ঠা এবং দৃঢ়তার সঙ্গে নির্ভয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ (Burdwan Medical College) হাসপাতালে করোনা সোয়াব কালেকশন বা লালা রস সংগ্রহের কাজ করে চলেছেন মুনমুন দিদি।

করোনাকালের প্রথমদিকে কোভিড রোগীর চিকিৎসা করতে যখন সবাই ইতস্তত করছিলেন সেই সময় সাহস দেখিয়ে ছিলেন মুনমুন দাস দে। রোগীর সহায়তায় এগিয়ে এসেছিলেন তিনি। হাসপাতালে অনেক চিকিৎসক ও তাঁর সহকর্মীদের করোনায় আক্রান্ত হতে দেখেছেন। তবু নিজের কর্তব্যে অবিচল থেকে রোগীদের প্রতি সহয়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, “চিকিৎসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মী থেকে চিকিৎসক, সকলের যৌথ প্রচেষ্টা খুবই জরুরী। এই করোনা পরিস্থিতিতে মুনমুন দাস একজন স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে যেভাবে কাজ করে চলেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। করোনা কালের শুরু থেকেই কোভিড সংক্রান্ত বিভিন্ন দায়িত্ব সামলে এসেছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত নিঃস্বার্থভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসকদের পাশাপাশি মুনমুন দাসের মতো স্বাস্থ্যকর্মীদের সহযোগিতা একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত।”

বর্ধমান শহরে সদরঘাট এলাকায় দুই ছেলেকে নিয়ে থাকেন মুনমুন দাস। ২০১৭ সাল থেকে বর্ধমান হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মী হিসাবে কাজ করা শুরু করেছিলেন তিনি। তারপর ২০২০ সালে হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ড তৈরি হওয়ার পর অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা যখন কোভিড রোগীর কাছে যেতে ভয় পাচ্ছিলেন, তখন তিনি নির্ভয়ে সেখানে কাজ শুরু করেন। এরপর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। তারপর থেকে বহু মানুষের করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব নির্ভয়ে সামলাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী মুনমুন দাস। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে হাসিমুখে নিজের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

মুনমুন দাস জানান, “সেবাকেই জীবনের মূল মন্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন এবং মানুষের সেবা করার কাজের সময় কখনোই ভীত হননি তিনি। ১৬ মার্চ হাসপাতলে যখন প্রথম কোভিড রোগী ভর্তি হয়, তখন রোগীর সমস্ত পরিচর্যার দায়িত্ব সামলে ছিলেন।” স্বামী পাশে না থাকায় দুই ছেলের পড়াশোনার খরচ থেকে সংসার চালানোর দায়িত্ব তাঁকে একাই সামলাতে হয়। তাঁর একার রোজগারে চলে সংসার।

হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা মানুষজনও মুনমুন দাসের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। তাঁর কাজের সুনাম করেছেন চিকিৎসকরাও। গতকাল জাতীয় চিকিৎসক দিবস উদযাপন করা হয়। চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে মুনমুন দিদির মতন একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বর্ধমানবাসীরা।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Stay Connected

3,541FansLike
3,210FollowersFollow
2,141FollowersFollow
2,034SubscribersSubscribe
- Advertisement -

Latest Articles