আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি হতে চলেছে বর্ধমান (Burdwan) পৌরসভা নির্বাচন। কিছুদিনের মধ্যে জারি হবে নোটিফিকেশন। তারপরেই প্রার্থী ঘোষণা করবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি। কিন্তু শাসক দলের তরফে অফিসিয়ালি কোনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার আগেই তৃণমূলের একটি প্রস্তাবিত প্রার্থী তালিকা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যা দ্রুত ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এরকম কোনও তালিকা দল থেকে প্রকাশ করা হয়নি। বিভ্রান্তি ছড়ানোর জনই এমন লিস্ট ভাইরাল করা হয়েছে।
ভাইরাল লিস্ট বিধায়ক খোকন দাস ও শহর তৃণমূল সভাপতি অরুপ দাসের প্রস্তাবিত বলে দাবি করা হচ্ছে। যাতে মোট ৩৫ টি ওয়ার্ডের তালিকাই রয়েছে। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে লেখা বিধায়ক খোকন দাসের নাম। ২৩ নম্বরে তাঁর স্ত্রী মৌসুমী দাস, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রাক্তন কাউন্সিলর পরেশচন্দ্র সরকার, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে শহর সভাপতি অরূপ দাস, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের নাম।
যদিও এই তালিকা তাঁর তৈরি করা নয় বলে জানান বিধায়ক। বুধবার সংবাদমাধ্যমে বিধায়ক খোকন দাস বলেন, “কারা এসব লিস্ট বার করেছে জানিনা। বিভিন্ন সময় মোবাইলে দেখি একেকজন এক একটা লিস্ট করে ছেড়ে দিয়েছে। এভাবে তৃণমূলের প্রার্থী লিস্ট হয় না। বিভ্রান্তি করার জন্য এইগুলি করেছে। আমাদের কোনও ব্যাপার নেই। এগুলি সিপিআইএম, বিজেপিরা করছে। কে কার নামে সই দিয়ে ছেড়ে দিল আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই”।
এবিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ও সংবাদমাধ্যমে বলেন, “যতক্ষণ না দল থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয় সবাই নিজেদের প্রার্থীভাবে। এটাই তৃণমূলের বিশেষত্ব। আর কিছু মানুষ বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তি প্রচার করার জন্য লিস্ট করে বাজারে ছেড়ে দেয়। দলীয় তালিকা জেলাস্তরে আলোচনার পর রাজ্যে যাবে। তারপর ফাইনাল হবে। কেউ যদি ছেড়ে থাকে এটা তার দায়”। নির্বাচন ঘোষণা হলেই দল আসল তালিকা প্রকাশ করবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন
যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পূর্ববর্ধমানে পালিত হল ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবস
প্রস্তাবিত নামের তালিকায় দেখা যাচ্ছে
ওয়ার্ড নং ১)- বিকাশ মণ্ডল, সুমিত শর্মা।
২)- তাঞ্জুবা বেগম, ইয়াসমিন খান, রিমা মির্জা (বি.এ. তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী)।
৩)- চায়না কুমারী, অনিতা কুমারী প্রসাদ (বি.এ.), মমতা কুমারী।
৪)- শেখ নুরুল আলম (সাহেব), শেখ মহম্মদ আলি (প্রাক্তন কাউন্সিলর)।
৫)- শেফালি বেগম (প্রাক্তন কাউন্সিলর), ইফতেকার আহমেদ।
৬)- মণিকা মণ্ডল, সিমরণ বাল্মিকী (এম.এ.), শিবাণী রাজবংশী।
৭)- ইতু বন্দ্যোপাধ্যায়, মিঠু সিং, এনাক্ষী সাহা।
৮)- সুতপা ভট্টাচার্য, তন্ময় সিংহ রায়, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য।
৯)- শিখা সেনগুপ্ত (প্রাক্তন কাউন্সিলর)।
১০)- চৈতালি সরকার, চন্দ্রা দাস।
১১)- পরেশচন্দ্র সরকার (প্রাক্তন কাউন্সিলর), শিবশংকর ঘোষ।
১২)- ভবতোষ চক্রবর্তী, নীহারেন্দু আদিত্য, ডা. কিরণ দাস।
১৩)- তৃষ্ণা সরকার, পম্পা পাল (প্রাক্তন কাউন্সিলর), সমাপ্তিকা মণ্ডল।
১৪)- গৌরীশংকর ভট্টাচার্য (প্রাক্তন কাউন্সিলর), শেখ তাজিবুর রহমান (জুয়েল), সুজিত বিশ্বাস।
১৫)- নিমাই মজুমদার, ডা. শঙ্খশুভ্র ঘোষ।
১৬)- পূর্ণিমা ভকত, সুজিত বিশ্বাস।
১৭)- রূপালী কৈবর্ত্য (প্রাক্তন কাউন্সিলর)।
১৮)- প্রদীপ রহমান (প্রাক্তন কাউন্সিলর)।
১৯)- সাহাবুদ্দিন খান (প্রাক্তন কাউন্সিলর), মোল্লা লিয়াকত হোসেন, ইমরান কায়ুম।
২০)- মমতা রায় (প্রাক্তন কাউন্সিলর), স্বীকৃতি হাজরা (এমবিএ)।
২১)- শ্যামাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়দেব মুখোপাধ্যায়, সৌগত হালদার, সুনীল শ।
২২-) নারুগোপাল ভকত, সমীর মুন্ডা, সুবীর ঘোষ।
২৩)- মৌসুমী দাস।২৪)- খোকন দাস (প্রাক্তন কাউন্সিলর)।
২৫)- আশিস বিশ্বাস, অনুপ আচার্য, ভজন দত্ত, আজিজুল হক মণ্ডল।
২৬)- নয়ন মল্লিক (এম.এ.) (এমসিএ), রিঙ্কু খাতুন, নাজমুনারা বেগম।
২৭)- ইন্তেখাব আলম, মহম্মদ আসরাফউদ্দিন, বসির আহমেদ (প্রাক্তন কাউন্সিলর)।
২৮)- রেখা তিওয়ারি, অমিত সোনকর, প্রসেনজিৎ দাস।
২৯)- সুশান্ত প্রামাণিক।৩০)- রত্না রায় (প্রাক্তন কাউন্সিলর), হেনা খান (এম.এ.) (বি.এড.)।
৩১)- শান্তনু দত্ত, আবদুল রব।৩২)- অরূপ দাস (প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পছন্দ হিসেবে)।
৩৩)- সোনামণি দাস, বাকি যে দুজনের যে নাম লেখা হয়েছে তা অস্পষ্ট। (৩১, ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের নামগুলিতে যে কাটাকুটি করা হয়েছে তা তালিকা দেখে বোঝা যাচ্ছে)।
৩৪)- উমা সাঁই, রমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
৩৫)- সনৎ বক্সী (প্রাক্তন কাউন্সিলর), সোমা বক্সী, তপন দাস।