দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দেশ হোক কিংবা রাজ্যে সব জায়গায় একই চিত্র। এরই মধ্যে নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করলো কেন্দ্র। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কেউ যদি এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যায়, সেক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষা (COVID Test) করানো বাধ্যতামূলক নয়। রোগীর অস্ত্রোপচার হোক কিংবা সন্তান প্রসব, চিকিৎসা স্থগিত রাখা যাবে না। যদি কেউ করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসে তাহলেও করোনা পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক নয়, তা জানিয়ে দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (Indian Council of Medical Research / ICMR) । বলা হয়েছে যদি কারোর বয়স বেশি হয় কিংবা কারোর কোমর্বিডিটি থাকে সেক্ষেত্রে অনেক ঝুঁকি রয়ে যায়়। সেইসব রোগীরা যদি কোনও সংক্রমিত লোকের সংস্পর্শে আসে তাহলে তাদের পরীক্ষা করে নেওয়াই ভালো।
সোমবার আইসিএমআর-এর তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা সমস্ত হাসপাতাল এবং নার্সিংহোম গুলিকে দেওয়া হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, কেউ যদি এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যায় তাহলে তার করোনা পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই। যাদের কোনও রকম উপসর্গ নেই কিংবা হোম আইসোলেশনের মেয়াদ যাদের শেষ হয়ে গিয়েছে অথবা যারা করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে মুক্তি পেয়েছেন তাদেরও করোনা পরীক্ষা করানোর কোন প্রয়োজন নেই।
প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে কাদের করোনা পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন? আইসিএমআর-এর তরফ থেকে থেকে জানানো হয়েছে, যাদের কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অন্য উপসর্গ রয়েছে তাদের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। অস্ত্রোপচার, সন্তান প্রসব অথবা আপদকালীন চিকিৎসা জন্য যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের কোনও উপসর্গ না থাকলে করোনা পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই। আইসিএমআর-এর তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, আরটি পিসিআর, ট্রুন্যাট, CBNAAT, CRISPR, RT-LAMP, র্যাপিড মলিকিউলার টেস্টিং সিস্টেম অথবা র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টিং-এর মাধ্যমেই করোনা পরীক্ষা করতে হবে। বাড়িতে যারা নিজেই পরীক্ষা করবেন তাতে যা রিপোর্ট আসবে সেটাই সঠিক বলে মানতে হবে। দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করানোর জন্য তাদেরকে চাপ দেওয়া যাবে না। তবে উপসর্গ আছে এমন ব্যক্তিদের বাড়িতে করা পরীক্ষার রিপোর্ট যদি নেগেটিভ আসে, তাহলে তাদের আরটিপিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে।