জামিন নয়, আপাতত গৃহবন্দি থাকবেন হেভিওয়েটরা। জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গতকাল শুনানি না হওয়ায় আজ ফের নারদ মামলার শুনানি শুরু হয় হাইকোর্টে। চারজনকেই গৃহবন্দি থাকতে হবে বলে রায় দেয় হাইকোর্ট । সূত্রের খবর হেভিওয়েটদের জামিন মামলায় তৃতীয় কোনও বেঞ্চ গঠন হতে পারে বা বৃহত্তর বেঞ্চে নারদ মামলার শুনানি হতে পারে। এমন একটা সম্ভাবনা রয়েছে ।
আদালতের নির্দেশ মতো, করোনা যুদ্ধে দায়িত্বে থাকা হেভিওয়েটরা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু শারীরিকভাবে কেউ বাইরে গিয়ে বৈঠক করতে পারবেন না। তবে নারদকাণ্ডে ধৃত ৪ হেভিওয়েটের জামিন মামলায় নতুন জটিলতা দেখা দেয় এদিন। সূত্রের খবর জামিন মঞ্জুর সংক্রান্ত নির্দেশ নিয়ে দুই বিচারপতির মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়। জামিন মঞ্জুর করার পক্ষে ছিলেন বিচারপতি অরিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জামিন মঞ্জুরের বিরোধিতা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। এরপর হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অন্তর্বর্তী মামলা নতুন বেঞ্চে পাঠানো হতে পারে। কিন্তু ততদিন জেল হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেও ৪ জনকেই থাকতে হবে গৃহবন্দি অবস্থায়। তবে চিকিৎসা সংক্রান্ত সব সুবিধা চারজনই পাবেন বলে জানানো হয় এবং এই মামলায় সিবিআইকে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে তাদের।
অন্যদিকে হেভিওয়েটদের আইনজীবীরা অন্তর্বর্তী জামিনের জন্য আবেদন জানান বলে আদালতে সূত্রে খবর । এরপরই হাইকোর্ট তাদের এদিনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয় । জামিন নয়, আপাতত গৃহবন্দি থাকতে হবে হেভিওয়েটদের বলে নির্দেশ দেয় আদালত।