গত সপ্তাহ থেকেই রাজ্য জুড়ে টানা বৃষ্টির প্রভাব দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যেই ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার (Dengue-Malaria) মতো মশাবাহিত রোগ নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। জেলাভিত্তিক সমীক্ষা করার পর স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ৮টি জেলার ৮টি পুরসভাকে সতর্ক করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যেমন শিলিগুড়ি, বাঁকুড়া, রিষরা, আসানসোল, বজবজ, হাওড়া প্রভৃতিতে উদ্বেগের চিত্র স্পষ্ট। গত ৪ সপ্তাহে রিষরায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৯জন।এমনকি ৫টি পৌরসভার বিভিন্ন বাড়িতে মিলেছে মশার লার্ভা। জেলাভিত্তিক সমীক্ষা করে জানা গিয়েছে, ৬টি পুরসভার ৫০ শতাংশ নর্দমায় এবং ৮টি পুরসভার ১০০ শতাংশ খালে মশার লার্ভা রয়েছে। এই মশাবাহিত রোগের উপদ্রপ জেলার বিভিন্ন গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে। দীর্ঘ সমীক্ষার পর ৫টি জেলার ৪১টি এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং আলিপুরদুয়ারের কুমার গ্রামকে বিশেষভাবে অ্যালার্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি মালদা, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর চব্বিশ পরগনাকেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ডেঙ্গি মোকাবিলায় কলকাতা পুরসভা, স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠকে বসে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রভাব সেইরকম না থাকলেও, কলকাতার ৭নম্বর বরোয় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বিশেষত ৪,৫,৬,৭ বরোতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। জানা গিয়েছে, জানুয়ারি থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই বরোগুলিতে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। টানা বৃষ্টির কারণে জমা জলে যাতে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া মশার লার্ভা না জন্মায় সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ঠিক করা হয় যে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ তথ্য সংগ্রহ ও এলাকায় নজরদারি আরও বাড়ানো হবে। পাশাপশি ফুটপাথ বাসী থেকে শুরু করে পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপরেও রাখা হচ্ছে যথেষ্ট নজর । আর তার সঙ্গে ভ্যাকসিনেশনের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের একাংশকে এই কাজে নিযুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন
নতুন আতঙ্ক জিকা ভাইরাস, জিকা ভাইরাস নিয়ে সতর্কতা জারি এরাজ্যেও