রূপম দত্ত
অন্য কোনও কারণ নয়। সংস্থাকে বাঁচাতে নাকি দৈনিক ৪ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে ইলন মাস্ককে। তাই টুইটার কেনার পর থেকেই কর্মী ছাটাইইয়ের কথা জানিয়েছিলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। এবার কঠোর হাতেই সেই সিন্ধান্ত কার্যকর করে ফেলেছেন তিনি। ভারতে ফেসবুক হোয়াটস অ্যাপের মতনই একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া হল টুইটার। ফলে, সব রকমভাবেই সেই প্রভাব পড়েছে ভারতে।
ভারতে কর্মী ছাটাইয়ের ফলে টুইটারের ওপর এক সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ছে বলেও জানা যাচ্ছে। টুইটার কেনার পরই মাস্ক টুইটারের সিইও ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগরওয়ালকে বরখাস্ত করেন। এখন পর্যন্ত ৩০০০ কর্মী ছাটাই করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সারা বিশ্বে ৭৫০০ কর্মিকে ছাটাই করা হবে বলেও জানিয়েছেন মাস্ক। এছাড়াও ভেরিফায়েড ব্লু-টিক অ্যাকাউন্টগুলির জন্যও মাসে ৮ ডলার পরে ফি ধার্য করেছেন তিনি। যা গ্লোবাল তথা ভারতের ব্যবহারকারীদের ওপরও বিশেষভাবে প্রভাব ফেলেছে।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারতে টুইটারের সম্পূর্ণ মার্কেটিং টিমকেই বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতে টুইটারের প্রায় ২৫০ জন কর্মী ছিলেন। এখন সেই সংখ্যাটা নাকি নেমে ১০-এ দাঁড়িয়েছে।
তবে, আশ্চর্যের বিষয় একটি মেলেই নাকি চলে গিয়েছে চাকরি। শুক্রবার সকালেই সকল কর্মীদের বাড়ি চলে যাওয়ার কথা মেল পাঠিয়ে জানানো হয়েছে। মেলে বলা হয়েছে “প্রত্যেক কর্মচারী যেন কাজ মুলতুবী রেখে আপাতত বাড়ি ফিরে যান”। কোম্পানি থেকে কর্মচারীদের শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়। কিন্তু সাড়ে ৯ টা তো দূর ৯ টা পর্যন্তও অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁদের। তার মধ্যেই অনেকের কাছে মেল আসতে শুরু করে।
সংস্থার তরফে পাঠানো ওই দ্বিতীয় মেলে কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে “সংস্থায় আপনার অবদানের কথা মাথায় রেখেই এটা জানাতে চাই, কর্মী সঙ্কোচনের জন্য আপনার চাকরি কোনওভাবে প্রভাবিত হচ্ছে না।”
স্বভাবতই যারা মেল পাননি তারা যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তাঁদের অনেকের আশঙ্কা ভারতে বিপুল সংখ্যায় কর্মী ছাটাই করবে সংস্থা। শুক্রবারে সকালে মেল পাওয়ার পর কর্মীরা কাজ বন্ধ করে দেন ও যারা ওয়ার্ক ফর্ম হোম করছিলেন তারা লগ আউট করে নেন।
তবে টুইটারের তরফে কর্মীদের পাঠানো মেলে বলা হয়েছে, “আমরা জানি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আপনাদের যেতে হচ্ছে।” এ ক্ষেত্রে সকল কর্মচারীকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সংস্থার তরফ থেকে।
মাস্কের কর্মী ছাটাইয়ের খবর মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়াতে এই বিষয়ে প্রচুর মিম ভাইরাল হতে থাকে। মাস্কের এই কর্মকাণ্ডের ফলে মাস্কের ইমেজের ওপর যে প্রভাব পরবে তা বলাবাহুল্য। টুইটার ছেড়ে অন্য সাইটে যোগদানের হিড়িকও বাড়ছে। এই সুযোগে ভারতীয় অ্যাপ ‘কু’-তেও বাড়ছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা।
আরও পড়ুনঃ Monkey drinking beer: চুরি করে বিয়ার খাচ্ছে বাঁদর, চিন্তায় মদের দোকান মালিক