G-20 কী ?
১৯৯০ এর দশকে সমগ্র বিশ্বকে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংকটের হাত থেক তুলে আনতে গঠিত হয়েছিল G-20 বা গ্রুপ অফ ২০ নেশনস। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ সমগ্র বিশ্বে ১৯ টি শক্তিশালী,উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশকে নিয়ে গঠিত হয়েছিল এই সংগঠন,যা সমগ্র বিশ্বের ৮৫% জিডিপি এবং ৪.৫ বিলিয়ন লোকের প্রতিনিধিত্ব করে।
২০০৮ সালে চলতে থাকা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট থেকে সমগ্র বিশ্বকে রক্ষা করার জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল এই G-20 সংগঠন।
G-20 প্রেসিডেন্সি কী?
G-20 সংগঠনের কোন স্থায়ী সচিবালয় নেই। প্রত্যেক বছর G-20 অন্তর্ভুক্ত একটি দেশ এই সংগঠনের সভাপতিত্ব করে যাকে প্রেসিডেন্ট কান্ট্রি বলে সম্বোধিত করা হয়। প্রেসিডেন্ট দেশ এই সম্মেলনের অ্যাজেন্ডা পরিচালনা করে এবং এই সম্মেলনের আয়োজনও করে থাকে।
G-20 সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট দেশ বিশ্বব্যাংক,বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা,জাতিসংঘ এবং আই এম এফ সহ,বাংলাদেশ,নাইজেরিয়া,সিঙ্গাপুর এবং স্পেনের মতো অ-সদস্য দেশগুলিকেও আমন্ত্রন জানিয়ে থাকে।
আসন্ন G-20তে ভারতের অ্যাজেন্ডা কী?
ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি G-20 তে ভারতের বৈশ্বিক অবস্থানের কথা মাথায় রেখে আসন্ন জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ এবং মহামারীর মতো চ্যালেঞ্জগুলিতে একে অপরের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে সমাধান করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী “খাদ্য, সার এবং চিকিৎসা পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহকে অরাজনৈতিককরণ করার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছেন, যাতে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা মানবিক সংকটের দিকে না নিয়ে যায়”।
তিনি রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাত নিয়ে নয়া দিল্লির অবস্থানের কথা স্পষ্ট করতে গিয়ে বলেন,”এই সংঘাতের সমাধান একমাত্র আলোচনা এবং কুটনীতির দ্বারাই সম্ভব”।
প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ভারতের কাছে G-20 মানে কী?
২০২৪ এ ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে G-20 সম্মেলন মোদির আন্তর্জাতিক নেতা হিসাবে ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তাকে বিশেষ ভাবে প্রভাবিত করবে তা বলা বাহুল্য।
৭২ বছর বয়সি এই নেতার ইতিমধ্যেই ব্যাক্তিগত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাঁক্র থেকে শুরু করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন এবং জাপান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার মতো নেতার সাথে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বর্তমানে G-20 গোষ্ঠীর এক অন্যতম পরিচিত মুখ।
তবুও, বর্তমান জটিল ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভারত ও মোদির জন্য একাধিক সংকটের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া গঠনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ করে তুলবে।
ভারতীয় থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক গেটওয়ে হাউসের রাজীব ভাটিয়া এবং মনজিৎ কৃপালানি বলেছেন, এটি ভারতের জন্য একটি “নিয়ম গ্রহণকারী থেকে একটি নিয়ম-প্রণেতা দেশ হয়ে ওঠার” উত্তরণের একটি মুহূর্ত।
“ভারত G20-এর মতো বহুপাক্ষিক নিয়ম-প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলিতে খুব বেশি বিনিয়োগ করেনি, তবে এটি শুরু করতে বেশি দেরি হবে না।”