রূপম দত্ত: চলতি বছরের ১৫ থেকে ১৬ই নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার বালি শহরে আয়োজিত হতে চলেছে G-20 সামিট। এটি ২০ টি গোষ্টী দেশের ১৭-তম বৈঠক, এই G20 হলো বিশ্বের শিল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল উভয় দেশ সহ বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির অধিকাংশ দেশগুলিকে নিয়ে গঠিত একটি সংগঠন। এই সংস্থার অন্তর্গত ২০ টি দেশ হল আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিন আফ্রিকা, দক্ষিন কোরিয়া, তুরস্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
এই জি ২০ সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য হল বিশ্ব অর্থনীতির মূল বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলিকে এক ছাদের তলায় আনা। বিশ্বের এই ২০ টি দেশের কাছে রয়েছে বিশ্ব পণ্যের(GWP) ৮০ শতাংশ, ৫৯-৭৭ শতাংশ আন্তজার্তিক বানিজ্য, বিশ্বের সমগ্র জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ এবং বিশ্বের ভূমি এলাকার ৬০ শতাংশ।
১৯৯৯ সালে এক আর্থিক সংকটের প্রতিক্রিয়া হিসাবে গঠিত হয় G-20 বা গ্রুপ অফ 20 নেশনস। ২০০৮ সাল থেকে এই সংস্থা প্রত্যেক বছর এই সম্মেলন আয়োজন করে চলেছে। চলতি বছরে এই সংগঠনের অধ্যক্ষ এবং আয়োজক দেশ হল ইন্দোনেশিয়া। মূলত ইন্দোনেশিয়ার দুটি শহর নুসা দুয়া ও বালিতে আয়োজিত হতে চলেছে এই সম্মলন। এই বছর এই সম্মেলনের এক বৃহত্তম আলোচনার বিষয় হতে চলেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তা বলাবাহুল্য। এই বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে আমেরিক, কানাডা, ইউকে থেকে জাপানের মতো দেশ গর্জে উঠবেন তা বোঝায় যাচ্ছে। এই সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধানের ও উপায় খোঁজার চেষ্টা হবে বলে আশাবাদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আয়োজক দেশ ইন্দোনেশিয়ার তরফে অবশ্য সদস্য দেশ রাশিয়াকে এবং অতিথি দেশ হিসাবে ইউক্রেনকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে। প্রথমদিকে পুতিন নিজে আসবেন বলে জানা গেলেও গত ১০ই নভেম্বর রাশিয়া সরকারিভাবে ঘোষণা করে প্রেসিডেন্ট পুতিনের হয়ে সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করবেন রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রী সেরগেই ল্যাভরভ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন বলে কয়েক মাস আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়। এই আলোচনা যোগ দেবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সূনুক ও।
পরের বছর ২০২৩ সালে জি২০-র সভাপতিত্ব পাচ্ছে ভারত, এবং এর ত্রয়ী গোষ্ঠীতে থাকছে তিনটি উন্নয়নশীল দেশ ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিল যা জি ২০র ইতিহাসে প্রথম। এবছর ১ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী বছর অর্থাৎ ২০২৩ এর ৩০ নভেম্বর প্রযন্ত এর সময়সীমা। এই সময় ভারত কমপক্ষে ২০০ টি মিটিং আয়োজন করতে পারবে।