ভোটের মরশুম আসতে চলেছে। আগামী বছর পঞ্চায়েত ভোট, তারপরের বছরই লোকসভা।গ্রামের মানুষের কর্মংস্থান গড়ে ভোটকে দখলে রাখতে মরিয়া রাজ্য- কেন্দ্র উভয় পক্ষই। এই সূত্রে জব কার্ড হীন ব্যাক্তিদেরও জব কার্ড করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে সরকার।
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে ১০০ দিনের বকেয়া টাকা। এই সূত্রে জব কার্ড থাকা ব্যক্তিদের অন্য কাজে লাগাতে সরকার ব্যয় করেছে প্রচুর টাকা।বর্তমানে সরকারের ভাড়ারে অর্থ সংকট। এতদিন কেন্দ্র বিভিন্ন কারনে আটকে দিয়েছেল শ্রমিকদের বকেয়া টাকা । তবে সেই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে গ্রামমন্ত্রক। এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে ভোট ময়দানে জিততে মরিয়া রাজ্যে সরকার। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের কাছে জব কার্ড হীন ব্যাক্তিদের জব কার্ড করে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে নবান্ন।
পঞ্চায়েত ভোট ও লোকসভাকে লক্ষ্য রেখে গ্রামের ভোট দখল করতে মরিয়া কেন্দ্র-রাজ্য দুই পক্ষই। এই ভোটকে দখলে রাখতে গেলে গ্রামের মানুষদের কর্ম সংস্থান অত্যাবশ্যক। এই সূত্রে একদিকে কেন্দ্র যেমন বকেয়া অর্থ মিটিয়ে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের তাগিদ জাগিয়েছে, অন্যদিকে রাজ্য সরকার জব কার্ড হীন ব্যক্তিদের জব কার্ড করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। শ্রমিক মজুরির খাতে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের থেকে পাওনা রাজ্যের। শ্রমিকদের প্রত্যেকের জব-কার্ড থাকলে একদিকে যেমন তাঁদের কাজের বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে, তেমনই একশো দিনের প্রকল্পের শ্রমিক-বাজেটেও তার সুপ্রভাব পড়তে পারে।
আধিকারিকদের অনেকে জানাচ্ছেন, বিভিন্ন দফতর তাদের প্রকল্পের কাজগুলি মূলত ঠিকাদারদের দিয়ে করিয়ে থাকে। এর ফলে তাঁরা কোন শ্রমিককে কাজে লাগাবেন সেটা করে ঠিকাদাররাই। সাধারণত কোনো নির্মাণ প্রকল্পে দক্ষ শ্রমিকদের কাজে লাগানো হয়। ফলে রাজ্য নির্দেশ দিলেই যে অদক্ষ শ্রমিকদেরও কাজে লাগানো হবে, তার নিশ্চয়তা নেই।
প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘এই কারণে সব শ্রমিককেই জব-কার্ডের আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে। কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা জব-কার্ড থাকা শ্রমিকদেরই যাতে কাজে লাগায়, তা নিশ্চিত করতে হবে জেলাশাসকদেরও।’