Mother and son Reunion: দীর্ঘ ২৭ বছর পর মায়ের স্নেহের স্পর্শ পেল ছেলে। ২৭ বছর ধরে স্বামী রমজান আলির খুনের দায়ে জেল খাটছিলেন তালাত সুলতানা। রবিবার বালুরঘাট সেন্ট্রাল জেল থেকে মুক্তি পেলেন তিনি। তালাত সুলতানার ছেলে আলী ইমরান রামজ (ভিক্টর) দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করার পর অবশেষে তাঁর মাকে কাছে পেলেন। ভিক্টর তাঁর মাকে কলকাতায় পাঠানোর পর বলেন, ‘দীর্ঘ ২৭ বছর পর তিনি মায়ের স্নেহের স্পর্শ পেলেন। বাবা খুন হয়েছেন, মাকে বাবা খুনের দায়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। রাজনীতি করতে গেলে বহু ত্যাগ ও বলিদানের প্রয়োজন হয়, যার সবথেকে বড় উদাহরণ তাঁর পরিবার।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালের এক শীতের রাতের ঘটনা। কলকাতার এমএলএ হস্টেলে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় গোয়ালপোখরের তৎকালীন বিধায়ক রমজান আলীর। পুলিশি তদন্তে জানা যায় তাঁকে খুন করা হয়েছে এবং দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল তাঁর স্ত্রী তালাত সুলতানা ও রমজান আলীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক নরুল ইসলামকে। ২৭ বছর পর তালাত সুলতানা ছাড়া পেলেও রমজানের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক এখনও জেলেই আছেন বলে জানা গিয়েছে।
রমজান আলীর ছেলে ভিক্টর এখন ফরোয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক। বিধায়ক ভিক্টরের অভিযোগ, ১৯৯৪ সালের ইসলামপুর পুরভোটে হামলা হয়েছিল তাঁর বাবার উপর। স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের উপর এই হামলা করার অভিযোগ উঠেছিল। মাথায় গুরুতর আঘাত লাগার কারণে তাঁর বাবা কলকাতায় চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁকে খুন করা হয় এবং পুলিশি তদন্তের পর ভিক্টরের মাকেও ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। ভিক্টর বলেন, বাবার খুন, মা জেলে, এই অবস্থায় দুটো ছোট বোন নিয়ে তাঁকে অনেক লড়াই করতে হয়েছিল। তবে এই লড়াইয়ে তিনি তাঁর কাকা প্রাক্তন মন্ত্রী হাফিজ আলি সইরানির পাশে পেয়েছিলেন। এখন তাঁর এক বোন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ও অপর বোন শিক্ষিকা। এদিন তিনি জানান, জেল কর্তৃপক্ষ তাঁর মায়ের ব্যবহারে খুশি ছিলেন। যার ফলস্বরূপ তাঁরা সুপ্রীম কোর্টে মায়ের মুক্তির আবেদন করেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁর মা আজ মুক্ত।
আরও পড়ুন