প্রয়াত গায়ক-সুরকার বাপ্পি লাহিড়ি (Bappi Lahiri)। কয়েক মাস আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছিলেন বাড়িতে। কিন্তু ফের তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রায় এক মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। বুধবার সকালে তিনি তাঁর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বাপ্পি লাহিড়ির জীবনের পরতে পরতে ছিল নানান ওঠাপড়ার গল্প। মা-বাবা তাঁর নাম দিয়েছিল অলোকেশ লাহিড়ি। যদিও এক আত্মীয় তাঁর ডাকনাম রেখেছিলেন বাপি। ১৯৫২ সালে জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মুম্বাইয়ে বাঙালি শিল্পীদের বড় জায়গা তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি। বাপি লাহিড়ির গানের হাতেখড়ি হয় পরিবারের মাধ্যমে। তাঁর বাবা অপরেশ লাহিড়ি এবং মা বাঁশুড়ি লাহিড়ী ছিলেন বাংলা সঙ্গীত জগতে বেশ পরিচিত মুখ। চোখে স্বপ্ন নিয়ে মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি মুম্বাই পাড়ি দেন। তাঁর প্রথম গান রচনা হয় ১৯৭৩ সালে। হিন্দি ভাষায় নির্মিত “নানহা শিকারী” ছবিটিতে গানটি ব্যবহার করা হয়। এরপর বহু হিন্দি ও বাংলা ছবিতে গান করেন তিনি। মাত্র ১১ বছর বয়সে নাকি প্রথম গানের সুর দিয়েছিলেন তিনি বলে জানা গিয়েছে। মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত বেশ কিছু ছবিতে একাধিক গান পরিচালনা করেছেন বাপ্পী লাহিড়ি। ঊষা উত্থুপের সঙ্গে একাধিক গান গেয়েছেন তিনি। মাত্র তিন বছর বয়সে তবলায় হাতে খড়ি হয় তাঁর। গান লেখা থেকে শুরু করে গানের সুর দেওয়া এবং পরিচালনা করা তাঁর নখদর্পণে ছিল। বলিউডের গানে এক নতুন ধারার মিউজিক এনেছিলেন স্বয়ং বাপি লাহিড়ি।
বাপি লাহিড়ির প্রয়াণের খবর পাওয়া মাত্রই গোটা শিল্পমহলে ছড়িয়ে পড়েছে বিষাদের সুর। বলিউডের একাধিক সুপারহিট ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন তিনি। বাপি লাহিড়ির এই আচমকা চলে যাওয়াটা অনেকেই মানতে পারছেন না। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি বাঙালি। কিন্তু এরই মধ্যে বুধবার সাতসকালে আরও এক বাঙালি তারকার মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে গোটা দেশ।
আরও পড়ুন