নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বিতর্কিত মন্তব্যের পর উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন একদল মানুষ। রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে বিক্ষোভকারীদের। শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal), ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) সহ কয়েকটি রাজ্যে একই কায়দায় বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। কিছু জায়গায় সেই বিক্ষোভ তীব্র হিংসার রূপও নিয়েছে। হিংসা দমনে ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সারা দেশজুড়ে গ্রেপ্তার হয়েছে বহু। তবে, সব চেয়ে কড়া অবস্থান নিতে দেখা গিয়েছে যোগী রাজ্যের তরফে। সেখানে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্তদের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে বুলডোজার দিয়ে। যদিও বাড়িগুলি বেআইনিভাবে নির্মিত হয়েছিল বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছে, কানপুরে (Kanpur) হিংসা ছড়ানোয় মূল অভিযুক্তদের সম্পত্তি ধ্বংস করছে প্রশাসন। তবে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। মুখ্যমন্ত্রী যোগীর (Yogi Adityanath) মিডিয়া অ্যাডভাইজার মৃত্যুঞ্জয় কুমার ও বিজেপির অন্যান্য কয়েকজন নেতা এই হিংসাত্মক ঘটনার পরে এমন কিছু হতে পারে বলে টুইট করে আভাস দিয়েছিলেন। লিখেছিলেন,”গোলমাল যারা করছে তাদের মনে রাখতে হবে প্রতি শুক্রবার এর পরে শনিবার ঠিক আসবে।” এই বক্তব্য এর সঙ্গে একটি বুলডোজার ছবিও পোস্ট করেন।
নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পর হওয়া এই বিক্ষোভের জেরে উত্তরপ্রদেশের সাতটি জেলা থেকে ২৫৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সমাজের সম্প্রীতি ভঙ্গ ও শান্তি ভঙ্গের অভিযোগে সাহারানপুর (Saharanpur) থেকে ৬৪ জনকে গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রয়াগরাজের (Prayagraj) এসপি অজয় কুমার জানান ২৯ টি ধারায় ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্যাংস্টার আইন ও জাতীয় সুরক্ষা আইনে মামলা চালানো হবে ধৃতদের বিরুদ্ধে।
যদিও বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্তের পাল্টা সরব হয়েছেন, এলাহাবাদ হাই কোর্টের (Allahabad High Court) অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর। এই নিয়ে এলাহাবাদ হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর বলেছেন, ভারতে বেআইনিভাবে নির্মিত বাড়ির সংখ্যা প্রায় ১ কোটির উপরে। পুলিশ হেপাজতে থাকা এক ব্যক্তির বাড়ি এভাবে ভেঙে ফেলা নৈতিক নয়। এই নিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি মাথুরের মন্তব্য, রাজ্য সরকার তাহলে আইনের শাসন মানছে কিনা, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন