পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক সংক্রমণের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas)। তাই কোভিড আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে হেল্পলাইন নম্বর চালু করলো উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। ব্যারাকপুর পৌরসভার উপ-প্রশাসক শুভ্র কান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় ‘পাশে আছি’ এই ট্যাগলাইন ব্যবহার করে কোভিড আক্রান্তদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছেন ।
কেন এই হেল্পলাইন নম্বর? আর কেনই বা এই ‘পাশে আছি’ নাম? এই প্রসঙ্গে উপ-পুর প্রশাসক শুভ্র কান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে কোভিড পরিস্থিতিতে পুর এলাকায় যারা কোভিড আক্রান্ত তাদের প্রয়োজনে অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে শুরু করে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় অন্যান্য সমস্ত পরিষেবা দেওয়া হবে নিখরচায়। তাই এই হেল্পলাইন নম্বরের পরিষেবা নাম দেওয়া হয়েছে ‘পাশে আছি’। নিজেদের প্রয়োজনের কথা 8276917277 -এই হোয়াটসআ্যপ নম্বরে মেসেজ করে জানাতে পারবেন পুর এলাকার আক্রান্ত মানুষজন।
গত দুই দিনে ব্যারাকপুর পৌরসভা এলাকায় দ্বিগুনেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনাতে। যা রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। সোমবার সংক্রমিত হয়েছেন ১৫৩জন মঙ্গলবার যা বেড়ে গিয়ে হয়েছে ৩৪৯ জন। এই পরিস্থিতি নিয়ে ব্যারাকপুর পৌরসভার প্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা উত্তম দাস জানান, “এখনই মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোনের কথা ভাবছি না। সংক্রমণ খুব বেড়েছে। তাই বাজার সোম, বুধ ও শুক্র এই তিনদিন খোলা থাকবে। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে পৌরসভা।”
দেশজুড়ে তান্ডব চালাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তাই আরও বেশি কড়া ব্যবস্থা প্রয়োগের দিকে হাঁটছে প্রশাসন। অশোকনগর কল্যানগড় পৌরসভা সূত্রে খবর, ৩১শে জানুয়ারী পর্যন্ত পুর এলাকার সমস্ত বাজার শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে সংক্রমণ ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় হাবরার পুর এলাকার সব বাজার শুক্রবার বন্ধ থাকবে এবং শনিবার জয়গাছির বস্ত্রহাটও বন্ধ থাকবে বলে খবর প্রশাসন সূত্রে।
কোভিড পরিস্থিতির ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের ফলে একদিকে যেমন কড়া পদক্ষেপের দিকে হাঁটছে প্রশাসন অন্যদিকে একদল মানুষ এখনও লাগামছাড়া উদাসীনতায় দিন কাটাচ্ছে। বারাসতের কাছারি মাঠের কাছে বুধবারও বিধি লঙ্ঘনের ছবি ধরা পড়লো। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ক্রেতা -বিক্রেতাদের সতর্ক করেছেন ব্যারাকপুর পৌরসভার তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর। অন্যদিকে ১৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড আক্রান্ত হয়ে পড়ায় ৭ তারিখ থেকে বন্ধ নিউ ব্যারাকপুর পৌরসভার দুটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
আরও পড়ুন