এবার মমতার হাত শক্ত করতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদিতে চলেছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে তথা কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় (Abhijit Mukherjee)। এবিষয়ে ওনার মুখ থেকে সরাসরি কিছু মন্তব্য না আসলেও এমনই জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
সূত্রের খবর, তৃণমূলের উচ্চ-নেতৃত্বের উপস্থিতিতে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় আজ কলকাতায় বিকাল চারটের সময় তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। নির্বাচনী ফলে তৃণমূলের বিশাল জয়ের পর এটাই সম্ভবত ‘দলবদলে’ দ্বিতীয় চমক হতে চলেছে। কিছুদিন আগেই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ ছেড়ে পুত্র শুভ্রাংসুকে নিয়ে তৃণমূলে যোগদিয়েছেন মুকুল রায়।
তবে, অভিজিৎ বাবুর এই যোগদানের খবর কিছুদিন আগে থেকে শোনা যাচ্ছিল রাজনৈতিকমহলে। তৃণমূলের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গেও নাকি তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন। প্রণব পুত্র তৃণমূলে যোগ দিলে তাঁকে জঙ্গিপুরের উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানো হবে কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের ‘জঙ্গিপুর’ ও ‘সামশেরগঞ্জ’ কেন্দ্রের প্রার্থীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়ায় এখানে গত বিধানসভা ভোট হয়নি। এই দু’টি কেন্দের আসনের জন্য উপনির্বাচন হবে। ‘ভূমিপুত্র’ হওয়ায় জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে তাঁকে দাঁড় করানোর বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি অভিজিৎ জাল ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারিতে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে টুইট করে বলেছিলেন, “কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির ভুল কাজের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করা ঠিক হবে না। যদি এমন হয় তবে মেহুল চোক্সী, নীরব মোদী এবং বিজয় মাল্য সম্পর্কিত মামলাগুলির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দায়ী করা যেতে পারে।”
ব্যক্তিগত জীবনে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে সরকারি চাকরিতে যুক্ত ছিলেন। তাঁর বাবা রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর ২০১২ সালে জঙ্গিপুর লোকসভা আসন খালি হয়। সেখানে তিনি কংগ্রেসের টিকিটে উপ-নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভও করেন। ২০১৪-তে লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গিপুর থেকে তিনি আবার সাংসদ পদে নির্বাচিত হন। তবে ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়।