এখানে জগন্নাথ দেবের বদলে পিতলের রথে বিরাজমান হন শ্রীকৃষ্ণ এবং কাঠের রথে বিরাজ করেন রাজবাড়ির মন্দিরের লক্ষ্মী নারায়ণ শিলা। বর্ধমান রাজবাড়ির দুটি রথের এটাই বিশেষত্ব। ৩৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই রীতি মেনেই বর্ধমান রাজবাড়ির রথযাত্রা (Rath Yatra) পালিত হয়ে আসছে। রথের দিন রাজ পরিবারের বর্তমান বংশধরেরা এসে রথের দড়ি টেনে রথযাত্রার সূচনা করেন। নিয়ম মেনে রথের দিন সকাল ৭টায় এই রথ টানা হয়। ঐতিহ্যবাহী এই রথযাত্রায় ধুমধাম সহকারে রীতিনীতি মেনে পুজো অর্চনা করা হয়। তবে করোনাকালে রীতিনীতি মেনে পুজো অর্চনা করা হলেও, সাধারণ দর্শনার্থীরা অংশ নিতে পারবেন না এই রথযাত্রা উৎসবে।
কথিত আছে, রাজ পরিবারের নিয়ম মেনে দুটি রথ তৈরি করা হতো। একটি রথ হতো রূপোর এবং অপরটি পিতলের। পরবর্তীকালে দুটি রথের মধ্যে একটি রথ পিতলের এবং অন্যটি কাঠের তৈরি করা হয়। বর্ধমানের সোনাপট্টিতে বর্ধমান রাজাদের তৈরি লক্ষ্মী নারায়ণ জিউ মন্দির রয়েছে। পাশেই নতুনগঞ্জে রয়েছে রাধাবল্লব জিউ মন্দির।
রাজ পরিবারের এই রথের বিশেষত্ব হল, এখানে জগন্নাথ দেবের মূর্তি পুজোর বদলে রাজ পরিবারের কুলদেবতা নারায়ণ শিলার পুজো করা হয়। রথযাত্রার দিন রাজ পরিবারের বংশধরেরা এসে রথের দড়ি টেনে রথযাত্রার সূচনা করেন। তারপর শহর পরিক্রমা করে রথ ফিরে আসে মন্দিরে। টানা সাতদিন ধরে চলে পুজো অর্চনা, পুজো সম্পন্ন হলে মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বিগ্রহ। কিন্তু গতবছর থেকে এই নিয়মে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। করোনার জেরে গতবছরের মতো এবছরও স্বাস্থ্য বিধি মেনে মন্দিরের ভিতরে রথযাত্রা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন