করোনা সংক্রমনের ভয়াবহতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল। অনেক স্কুলে অনলাইনে ক্লাস করানো হচ্ছে তবে বেশিরভাগ সরকারি আধা সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে এই সুযোগ নেই। তাই বেশকিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এই সমস্ত পড়ুয়াদের। পড়াশোনায় আগ্রহ হারাচ্ছে অনেকেই। এই ধরনের পড়ুয়াদের পড়াশোনায় যেন ভাটা না পড়ে তারজন্য এগিয়ে এসেছেন গুসকরা পশ্চিম এরিয়া কমিটির রেড ভলেন্টিয়ার্সের (Red Volunteers) সদস্যরা। তাঁরা আদিবাসী পরিবারের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের নিখরচায় পড়ানো শুরু করেছেন। তাঁদের এই কর্মসূচির নাম ‘শ্রেণিহীন পাঠশালা’।
সংগঠনের তরফ থেকে ছাত্র সম্পাদক অতনু ঘোষ, যুব সম্পাদক সুদীপ্ত দত্ত জানান, প্রায় দেড় বছর ধরে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে আদিবাসী পড়ুয়াদের মধ্যে অনেকেই পড়াশোনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। এরমধ্যে পরিবারের অনেককে আবার পেট চালাতে যোগ দিতে হয়েছে কাজে।

শনিবার অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। তারপর অভিভাবকদের মতামত নিয়ে রবিবার থেকেই আউশগ্রামের (Ausgram) শোকাডাঙ্গা (Shokadanga) এলাকায় রেড ভলেন্টিয়ার্সের (Red Volunteers) সদস্যরা এই পাঠশালার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। শোকাডাঙ্গা (Shokadanga), করোটিয়া (Karatia), জরকাডাঙ্গার মতো আদিবাসী গ্রামের পড়ুয়াদের উৎসাহ দিয়ে নিজেরাই গিয়ে নিয়ে এসেছেন। তাঁদের মাস্কের ব্যবস্থাও করেছেন তাঁরা।

এইসব পড়ুয়াদের পরিবারের দাবি, কাজ হারিয়ে দুবেলা দুমুঠো ভাত জোগাড় করা তাঁদের পক্ষে মুস্কিল হয়ে উঠেছে । এইরকম পরিস্থিতিতে স্মার্টফোন, অনলাইনে পড়াশোনা তাঁদের সন্তানদের ক্ষেত্রে একপ্রকার অসম্ভব। তাই অনেক পড়ুয়ারাই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। বই পড়া, স্কুল যাওয়ার সুঅভ্যাসেও অনেকাংশেই ছেদ পড়েছে। শোকাডাঙ্গার (Shokadanga) এক বাসিন্দা বলেন, স্কুল বন্ধ থাকার কারণে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। রেড ভলেন্টিয়ার্সের (Red Volunteers) সদস্যেরা এগিয়ে আসায় তাঁদের পড়াশোনা আবার শুরু হয়েছে। রেড ভলেন্টিয়ার্সের (Red Volunteers) সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বাসিন্দারা।