রাজ্যে স্কুল খোলার (School Re-opening) সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য হাইকোর্টের কাছে আরও সময় চাইল রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের এই আবেদন মেনে নিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রাজ্যের তরফ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, স্কুল খোলার জন্য রাজ্য সরকারও আগ্রহী। তবে এখনও পর্যন্ত ১৫-১৮ বছর বয়সী পড়ুয়াদের টিকাকরণ হয়েছে, ১৫ বছরের থেকে কম বয়সী পড়ুয়াদের মধ্যে এখনও কারও কারও টিকাকরণ হয়নি। সব মিলিয়ে অন্তত ৮৫ শতাংশ পড়ুয়াদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার পরই স্কুল খোলার কথা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে হাইকোর্টে জানানো হয়েছে বলে খবর। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে এবং ওই দিনই স্কুল খোলা নিয়ে হাইকোর্টকে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে রাজ্য সরকার বলে জানা গেছে৷
স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের মনে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে৷ এদিকে, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিতে সচেতনতা বজায় রেখে স্কুল-কলেজ খোলার দাবি জানাচ্ছেন অভিভাবকদের একাংশ সহ একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। স্কুল খোলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছিলেন ব্রাত্য বসু। অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চকে বলেন, পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য আরও বেশি যত্নশীল হতে চায়৷ পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্পও চালু করা হচ্ছে। এটা প্রাথমিক পর্যায়ে স্কুল খোলার প্রথম পদক্ষেপ৷
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারও স্কুল খোলার দাবিতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। স্কুল খোলার দাবিতে এই নিয়ে মোট চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে পথে নেমেছে বিরোধী দলের ছাত্র সংগঠনগুলি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে বিশিষ্টজনেরাও সরব হয়েছেন।
আরও পড়ুন
বহিরাগত ব্যক্তিকে প্রার্থীরূপে মানছি না, আওয়াজ উঠল বর্ধমানের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে