পৌর নির্বাচনে রাজনৈতিক সৌজন্যের নজির বর্ধমান(Burdwan) শহরে। রাজনৈতিক হিংসা, উত্তেজনার পরিবেশ নয়। নিজের এলাকায় বিরোধীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ছেন তৃণমূল প্রার্থী। যাতেই রীতিমত নজর কাড়লেন বর্ধমান পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ভবদেব চক্রবর্তী।
মঙ্গলবার সকালে ভবদেববাবু প্রচারে বেড়িয়ে ছিলেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু এলাকায়। প্রচার করছিলেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। ওই এলাকারই শান্তিপাড়ায় সমস্ত ভোটারদের বাড়ি প্রচার করতে করতে বাদ রাখলেন না ১২ নম্বর ওয়ার্ডের CPI(M) প্রার্থীর বাড়িও।
তাঁরই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তরুণ বাম প্রার্থী অনির্বাণ রায় চৌধুরীর বাড়িতে গিয়েও চাইলেন ভোট। আবেদন করলেন তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার। তবে, সেই সময়ে অনির্বাণ বাবু বাড়িতে ছিলেন না। তিনি বেরিয়ে ছিলেন নিজের ভোট প্রচারে। বাড়িতে ছিলেন তাঁরা বাবা-মা। তাঁদের দুজনের সঙ্গেই দেখা করেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। শাসকদের লোকজনদের আচমকা বাড়িতে ঢুকতে দেখে প্রথমে কিছুটা হতবাক হলেও ভবদেব বাবুর তরফে হাতজোরে অভিবাদন জানানোতেই খুশী হন তাঁরাও। বাম প্রার্থীর পিতা প্রাক্তন শিক্ষক কাজল বাবুকে কাছে টেনে আলিঙ্গনও করলেন তৃণমূল প্রার্থী। যাতেই রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতার বাতারণে বিরল দৃশ্য দেখলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন পুলিশ কর্তা ভবদেব বাবু বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বাংলা তথা ভারতবর্ষের রাজনীতিতে জাগরণ সৃষ্টি করছেন। জাগৃতির মধ্যে দিয়ে দুর্বৃত্তায়নকে দূর করা। সেটাকে রূপ দান করা হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল উদ্দেশ্যে। তাই আমার দলের ও বিরোধী দলের প্রার্থীদের আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা প্রদান করেছি। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই, সকলকে নাগরিক পরিষেবা প্রদান করা। রাজনীতিতে আগে পার্টি অফিসে হকিস্টিক, নানারকম বল্লম থাকত। কিন্তু সেই পরিবেশ বর্তমানে আর নেই। এখন পার্টি অফিসে দলের পতাকা, ব্যানার এইসব থাকে। এই পরিবেশে যে পরিবর্তন এসেছে, সেটা আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই। কারণ তাঁর ভাবনাটাই হচ্ছে রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন একেবারে দূর করে দিতে হবে। এই ভাবনাকে কেন্দ্র করেই আজ আমি সিপিএম প্রার্থীর দুয়ারে গিয়েছিলাম।
আরও পড়ুন Burdwan: বাড়ি বাড়ি প্রচারে বর্ধমান পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী নুরুল আলম