শক্তি সঞ্চয় করে অগ্রসর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Yaas)। ইতিমধ্যেই তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলি সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এদিন বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় । মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী ক্রমশ উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ।
এটি আজ রাতের মধ্যেই একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এবং মঙ্গলবার অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে বুধবার সকালে ওড়িশা ও বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় ইয়াসের গতি থাকবে ঘন্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিমি । ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগে আজ থেকেই জেলাগুলির পাশাপাশি তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কলকাতাতেও। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি। বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য সবরকম ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে কলকাতা পুরসভাও। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে,কাল থেকে দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টি।
ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর মোকাবিলায় প্রশাসনকে সবদিক দিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান আগামী কাল থেকে ৪৮ ঘণ্টা লাগাতার নজরদারি চলবে। ১০ লক্ষ মানুষকে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পাশাপাশি খোলা হয়েছে ত্রাণশিবির । ত্রাণশিবির গুলিতে করোনা বিধি মানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। ৪ হাজার ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। ত্রাণশিবির গুলিতে করোনা বিধি মানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি বলেন, মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবেন না। রাজ্যের ২০ টি জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। ৫১টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন করা হয়েছে। সব জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ সামগ্রী মজুত রয়েছে। বিদ্যুৎ বিপর্যয় মোকাবিলায় ১ হাজারটি দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে সেনাবাহিনীকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া এবছর আগে থেকেই সিইএসই-র কাছে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক থাকতে আবদেন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।