করোনা আবহে ঘূর্ণিঝড় ‘আমফানের’ তণ্ডবের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের ধেয়ে আসছে আরেক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’।
আলিপুর আবহাওয়া অফিস আগেই সতর্কবার্তা দিয়েছিল। সোমবার সকাল থেকেই সেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজ্যের একাধিক অংশে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় শক্তি সঞ্চয় করতেই মঙ্গলবার সকালে থেকেই রাজ্যের উপকূলবর্তী বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি শুরু হতে পারে। বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যায় বহু গতি নিয়ে ‘ইয়াস’ আছড়ে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার স্থলভাগে। সেই প্রভাবে বুধ ও বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
‘আমফান’ থেকে শিক্ষা নিয়ে বিপর্যয় ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার জন্য সরকার তৎপর হয়েছে। এই অবস্থায় কি কি করবেন ও কি করবেন না সে বিষয়ে সতর্ক বার্তা দিয়েছে রাজ্য সরকার।
প্রথমত, গুজবে কান দেবেন না। সঠিক খবর জানতে সংবাদমাধ্যমেই ভরসা রাখুন। অত্যাবশ্যকীয় জরুরি জিনিস আগে থেকেই মজুত রাখুন। মোবাইলে চার্জ দিয়ে রাখুন। জরুরি নথি জল থেকে বাঁচিয়ে রাখুন। নিরাপত্তার জন্য গৃহপালিত প্রাণীর বাঁধন খুলে রাখুন। কাঁচাবাড়ি বা দুর্বল বাড়িতে থাকবেন না। নিরাপত্তার জন্য পাকাবাড়িতে আশ্রয় নিন। মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে বা নদীতে যাবে না। নৌকা নিরাপদ দূরত্বে বেঁধে রাখুন। বৈদ্যতিক স্তম্ভ ও তার খেয়াল রাখুন। সেই সঙ্গে করোনা সতর্কতাও মাথায় রাখুন।