জুন মাস থেকে শুরু হতে পারে কোভাক্সিনের পেডিয়াট্রিক ট্রায়াল। রবিবার সংস্থাটির আধিকারিক ডাঃ র্যাচস এল্লা জানান, ভারত বায়োটেক তার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কোভাক্সিনের পেডিয়াট্রিক ট্রায়াল জুন থেকে শুরু করতে পারে।
“অল অ্যাবাউট ভ্যাকসিনস” নিয়ে হায়দরাবাদের এফআইসিসিআই লেডিজ অর্গানাইজেশন (FLO)-এর সদস্যদের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন ডাঃ র্যাচস এল্লা। তিনি জানান, তৃতীয় বা চতুর্থ প্রান্তিকের শেষে কোভাক্সিনের জন্য সংস্থাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) থেকে অনুমোদন পেতে পারে।
তিনি আরও জানান, “আমি আনন্দিত এটা দেখে যে আমাদের কঠোর পরিশ্রমের ফলাফল যেমন কার্যকর হচ্ছে তেমনি ভ্যাকসিনও ভালো কাজ করছে, জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে। আমরা যখন প্রতিদিন কাজ থেকে বাড়ি ফিরি তখন আমাদের খুব ভালো অনুভূতি হয়। আমরা শীঘ্রই এই বছরের শেষের মধ্যে আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে ৭০০ মিলিয়ন ডোজ করার পরিকল্পনা করেছি। ”
“সরকারের পূর্ণ সমর্থন পেয়ে আমরা খুব খুশি। সরকারের পক্ষ থেকে এক হাজার পাঁচশ কোটি টাকার ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য আগে থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে আমরা ব্যাঙ্গালোর এবং গুজরাটে এই কাজ প্রসারিত করতে সক্ষম হচ্ছি,” বলে জানান ভারত বায়োটেকের এক তরুণ কার্যনির্বাহী।
এই বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বাচ্চাদের ভ্যাকসিনগুলি লাইসেন্স পেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ডাঃ এল্লা। তিনি জানান, “আমরা গত বছর পণ্যটি বিকাশের দিকে মনোনিবেশ করেছিলাম। এখন আমাদের লক্ষ্য উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে রয়েছে। বাচ্চাদের ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করার জন্য ভারত বায়োটেক এই বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে লাইসেন্স পেতে পারে।”
সমাবেশকে স্বাগত জানিয়ে এফএলও হায়দ্রাবাদের চেয়ারপার্সন উমা চিগুরুপতি কোভিড -১৯ কে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সঙ্কট হিসাবে বর্ণনা করেন। ভারত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং ব্রাজিলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বলে তিনি জানান।অনেকেই অনেক উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে এবং ভ্যাকসিনগুলি একমাত্র আশা বলে মনে করা হচ্ছে।