রাজ্যসভায় গতকাল পাশ হলো বন্যপ্রাণী (সুরক্ষা) সংশোধনী বিল,২০২২ এই বিল অনুযায়ী হাতির সুরক্ষা ও সংরক্ষন এর ওপর নজর দেওয়া হবে। বিরোধীরা বলছেন, এই বিলে এখনও হাতিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্পটতা নেই। তবে জীবিত হাতি পরিবহনকে বাঁধা দেবে এই বিল। রাজ্যসভায় বন্যপ্রাণী (সুরক্ষা) সংশোধনী বিল,২০২২ পাস হবার ফলে বিপন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণী ও উদ্ভিদের আন্তর্জাতিক স্তরে বাণিজ্য সংক্রান্ত চুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের বাধ্যবাধকতাগুলি কার্যকর করবে ‘CITES’। এর অধীনে প্রয়োজনীয় দেশগুলিকে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে পারমিটের মাধ্যমে সমস্ত তালিকাভুক্ত প্রজাতির নমুনা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
নতুন এই বিলটি হলো বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন ১৯৭২ এর সংশোধনী। ২০২২ সালের ২রা আগস্ট লোকসভা থেকে এই বিলটি পাস হয়েছিলো যা গতকাল রাজ্যসভায় স্বীকৃত হলো। এর সাথে বিলটির ৪৩ তম সংশোধনিতে বলা হয়, ধর্মীয় বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে বন্দী হাতিদের নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে বৈধ সার্টিফিকেট থাকা ব্যক্তিদেরই অনুমোদন দেওয়া হবে।
বিরোধী পক্ষের অনেকে এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, উল্লেখ করেছেন যে ‘অন্য কোন উদ্দেশ্য’ শব্দটি অস্পষ্ট এবং এতে হাতির বাণিজ্য, তাদের বন্দিত্ব এবং নৃশংসতাকে উৎসাহিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেছেন, এই আইনটি প্রধান আইনের সরাসরি লঙ্ঘন করে, যেখানে বন্যপ্রাণী পরিবহন নিষিদ্ধ ।
এই বিল সম্পর্কে পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং জানিয়েছেন,ভারতে অবৈধ পশু ব্যবসা বন্ধ করা হবে সঙ্গে বিদেশী বাণিজ্যের উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করা হবে এই বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনের অধীনে। বিলটিতে CITES-এর বন্যপ্রাণী সুরক্ষার জন্য স্বাধীন পরিকাঠামো প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, বিলটি স্থানীয় উপজাতি সম্প্রদায়গুলির জন্যও উপকারী হবে। এর দ্বারা স্থানীয় লোকেদের দৈনিক ক্রিয়াকলাপ যেমন পশুচারণ, চাষবাস, ভালো পানীয় এবং গৃহস্থালীর জলের সঠিকভাবে ব্যবহার করার দিশা দেখাবে।