রূপম দত্ত: ভারতীয়দের মধ্যে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা সব সময় তুঙ্গে, আর এর পেছনে আইপিএল(IPL) তথা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ রেখেছে এর বিশেষ অবদান। তবে পুরুষ ক্রিকেটের মত ভারতে মহিলা ক্রিকেট ততটা জনপ্রিয় নয়। আর মহিলা ক্রিকেটকে এই জনপ্রিয়তা দেওয়ার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই(BCCI) এবার শুরু করতে চলেছে মহিলা আইপিএল। আর এই আইপিএলে আন্তজার্তিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর যুক্ত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মিতালি রাজ।
বর্তমানে মিতালি বিভিন্ন ক্রিকেট ম্যাচে ধারাভাষ্য দিয়ে থাকেন। তবে আগামি দিনে তাঁকে দেখা যেতে পারে আরও একটি ভূমিকায়। আন্তজার্তিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর মহিলাদের আইপিএল খেলতে তিনি ইচ্ছুক। তবে শুধু ক্রিকেটার হিসেবে নয়, আরও একটি ভূমিকায় তাঁকে দেখা যেতে পারে এই আইপিএলে। এই মহিলা আইপিএলে মিতালির হাতে একটি দলের মালিকানাও থাকতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক।
একটি সাক্ষাৎকারে মিতালিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনি কি মহিলাদের আইপিএলের কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি কিনতে চান? এর উত্তরে মিতালি বলেন, “হয়তো হ্যাঁ।” মিতালি মহিলাদের আইপিএলের সঙ্গে যতটা সম্ভব জড়িয়ে থাকতে চাইছেন। সে কারনেই হয়তো দল কেনার কথা ভাবছেন তিনি। তিনি বলেন, “আমি নতুন এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত থাকার সব সম্ভাবনা খোলা রাখছি।” মিতালি কোনও একটা দলের হয়ে খেলতে বা মেন্টর হিসাবে থাকতে চাই, আবার অন্য কোনও ভাবেও যুক্ত থাকতে চান। তিনি বলরণ “যদিও এখন কিছুই পরিষ্কার নয়। মোট পাঁচটা ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি থাকবে। জানি না কী ভাবে দল তৈরি হবে। কী ভাবে নিলাম হবে। যতক্ষণ না সঠিক তথ্য পাচ্ছি, ততক্ষণ সব রকম সম্ভাবনা খোলা রাখতে চাই ।”
মহিলাদের এই আইপিএলে প্রথমে পাঁচটি দল নিয়ে শুরু হবে ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিদেশ থেকেও অনেক খেলোয়াড়দের আমন্ত্রন জানান হবে। মূলত টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে হবে খেলা। ভারতের প্রথম সারির সব সিনিয়র মহিলা ক্রিকেটাররাই খেলবেন আইপিএল, এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া মিতালি রাজ এবং ঝুলন গোস্বামীও খেলবেন এতে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় মিতালিকে ধারাভাষ্য দিতেও দেখেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন মিতালি। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, “বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে একটা ক্রিকেট ম্যাচকে দেখি। হাড্ডাহাড্ডি কোনও ম্যাচ হলে এখনও চাপ অনুভব করি৷ একজন খেলোয়াড়ের যে আবেগ থাকে, সেটা এখনও আমার মধ্যে থেকে গিয়েছে। এই বিষয়টা কাটিয়ে উঠতে হবে। ধারাভাষ্য দেওয়ার নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে। বলতে পারেন, অনেকটা নতুন কোনও খাবারের স্বাদ নেওয়ার মতো।” আগামী দিনেও কি আপনাকে ধারাভাষ্যকার হিসাবে দেখা যাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে মিতালি বলেন, “এখনই বলা কঠিন। কয়েক মাস পর বলতে পারব কাজটা আমার জন স্বচ্ছন্দের কিনা।”