Covid 19 treatment : করোনা আক্রান্তদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন রকমের উপসর্গ। কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির দীর্ঘদিন ধরে জ্বর থাকছে আবার কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির ১,২ দিন থেকে ৫ দিনের বেশি জ্বর থাকছে না। কারোর শ্বাস কষ্ট হচ্ছে, আবার কারো হচ্ছে না। এই সব কারণে উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদের তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে এবং নাম দেওয়া হয়েছে মৃদু উপসর্গযুক্ত (Mild Symptoms), মাঝারি উপসর্গযুক্ত (Moderate Symptoms) এবং গুরুতর উপসর্গযুক্ত (Severe Symptoms)।
এই মৃদু, মাঝারি ও গুরুতর উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে পার্থক্য কি এবং তাদের কি চিকিৎসার প্রয়োজন বা তারা কিভাবে সাবধানতা অবলম্বন করবে সেবিষয়ে নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করলো স্বাস্থ্যমন্ত্রক। All India Institute Of Medical Sciences (AIIMS), Indian Council of Medical Research (ICMR), Covid-19 National Task Force ও মন্ত্রকের অধীনে থাকা জয়েন্ট মনিটরিং গ্রুপ Directorate General Of Health Services (DGHS) এই নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।
মৃদু উপসর্গযুক্তদের জন্য নির্দেশিকা:
মৃদু উপসর্গযুক্ত কারা এবং তারা কিভাবে চিকিৎসা বা সাবধানতা অবলম্বন করবে?
upper respiratory tract-এ যাদের কোনও সমস্যা দেখা দিচ্ছে এবং শ্বাস কষ্ট ছাড়া জ্বর থাকছে তাদের মৃদু উপসর্গযুক্ত বলা হচ্ছে।
মৃদু উপসর্গযুক্তদের শারীরিক দূরত্ব (physical distancing) বজায় রেখে হোম আইসোলেশনে (Home isolation) থাকতে হবে। বাড়িতে থাকলেও মাস্কের ব্যবহার (indoor mask use) করতে হবে এবং বারবার জ্বর (Monitoring Temperature) এবং অক্সিজেন স্যাচুরেশন (Oxygen Saturation) মাপতে হবে।
৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে জ্বর বেশি (High-grade fever) থাকলে, সর্দি-কাশি বেশি (severe cough) হলে এবং অক্সিজেন স্যাচুরেশনের মাত্রা ৯৩ শতাংশের থেকে কম থাকলে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ৫ দিনের জন্য 800 mcg BD ডোজের ইনহেলার (Inhalational Budesonide) ব্যবহার করতে পারে।
মাঝারি উপসর্গযু্ক্তদের জন্য নির্দেশিকা:
কারা মাঝারি উপসর্গযু্ক্ত?
শ্বাস-প্রশ্বাসের মাত্রা (Respiratory rate) মিনিটে ২৪ বা তার কম হলে এবং যদি রোগীর অক্সিজেনের মাত্রা ৯০-৯৩ শতাংশ হয়, তবে সেই রোগী মাঝারি উপসর্গযু্ক্ত।
সুস্থ থাকতে মাঝারি উপসর্গযু্ক্তরা যা করতে পারে –
প্রোনিং করা অর্থাৎ জেগে উপুর হয়ে শুয়ে থাকতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ৫-১০ দিনের জন্য দুই ভাগে Methylprednisolone 0.5 to 1 mg/kg ডোজটি অথবা dexamethasone এর সমান ডোজ নেওয়া যেতে পারে। তবে মাঝারি উপসর্গযু্ক্তদের অক্সিজেন সাপ্লিমেন্টের কোনও দরকার নেই।
গুরুতর উপসর্গযুক্তদের জন্য নির্দেশিকা:
কারা গুরুতর উপসর্গযুক্ত?
করোনা রোগীদের যদি রেসপিরেটরি রেট (respiratory rate) মিনিটে ৩০ বা তার কম হয় তাদের গুরুতর উপসর্গযুক্ত রোগী হিসেবে দেখা হবে। ঘরের মধ্যে থাকাকালীন রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ শতাংশের কম হয়, তখন ভেবে নিতে হবে রোগীর মধ্যে গুরুতর উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। তৎক্ষণাৎ তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন