মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস (International Women’s Day 2022)। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নারীদের উদ্দেশে আয়োজন হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান। এই সময়ের নারীরা নিজেদের বাঁধন খুলে পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে। যেকোনও ধরনের পেশায় নারীরা নিজেদের যোগ্যতায় নিজেদের জায়গা তৈরি করেছে। ঘর চালানো থেকে শুরু করে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির সবথেকে উঁচু পদে বসে কোম্পানি চালানো হোক কিংবা দেশ বা রাজ্য চালানো, সবক্ষেত্রেই নারীরা নিজেদের যোগ্যতা, দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার প্রমাণ গোটা বিশ্বকে দিয়েছে।
নারী দিবসকে কেন্দ্র করে বার বার কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে। নারীরা তো এখন সব রকমের সুযোগই পাচ্ছে, তাহলে আলাদা করে ‘নারী দিবস’ কেন? সব সুযোগ পাওয়ার পরও যদি ‘নারী দিবস’ পালিত হয়, তবে একই ভাবে ‘পুরুষ দিবস’-এ জোর দেওয়া হয় না কেন? কখনও হাঁসি ঠাট্টায়, আবার কখনও বিরক্তির স্বরে এসব প্রসঙ্গ উঠে আসে। এসব কারণে সবার মনে প্রশ্ন ওঠে, তাহলে সত্যি কি এখন আর নারী দিবস পালন করার প্রয়োজন নেই?
‘আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারী দিবস’, বিপণন দুনিয়ায় এই দিনটিকে উৎসবের দিন হিসাবেই ধরে নিয়েছে। কোথাও দেওয়া হয় নারী দিবসের ছাড়, আবার কোথাও নারী দিবস উপলক্ষে দেওয়া হয় বিশেষ প্রসাধনীর বিজ্ঞাপন। এই সবের মাঝে ঢাকা পড়ে গিয়েছে এই দিনটি পালন করার আসল উদ্দেশ্য। UNESCO-র তরফ থেকে জানা গিয়েছে, প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয় ১৯০৯ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি। নারী শ্রমিকদের প্রতি সম্মান জানাতে পালন করা হয় এই দিনটি। পরে ১৯১৭ সাল থেকে রাশিয়াতেও একই কারণে এই দিনটি পালিত হতে থাকে। তবে ৮ মার্চ দিনটিতে নারী দিবস পালিত হয় রাশিয়াতেই। তারপর থেকে বিশ্বজুড়ে এই দিনটিতে “আন্তর্জাতিক নারী দিবস” পালিত হয়ে আসছে। লিঙ্গবৈষম্য দূর করার জন্য এই দিনটি পালন করা শুরু হয়েছিল। এখন সমাজের সমস্ত কাজে মহিলাদের অবদানকে সম্মান জানাতে পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
আরও পড়ুন