Nano Electric Car: বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা ইলেকট্রিক গাড়ির প্রোডাকশন শুরু করতে চলেছে চিন। মারুতি অল্টোর (Maruti Alto) থেকেও কম দামে পাওয়া যাবে এই ইলেকট্রিক গাড়ি। টাটার বহুল চর্চিত গাড়ি ন্যানোর (Tata Nano) সঙ্গে এই ইলেকট্রিক গাড়ির নামের মিল রয়েছে। একই নামে চিনের উলিং হংগুয়াং( Wuling HongGuang) আনতে চলেছে মিনি ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল।
আগেই চিনে মিনি ইলেকট্রিক গাড়ি এনে চমকে দিয়েছিল এই কোম্পানি। ২০২০-তে দ্বিতীয় বেস্ট সেলিং ইলেকট্রিক গাড়ির তকমা পেয়েছিল এই মিনি ইলেকট্রিক গাড়িটি। সব মিলিয়ে এক বছরে উলিং হংগুয়াং-এর এই মিনি ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি হয় ১,১৯,২৫৫ টি। এবছরও বিক্রির সেই একই ধারা বজায় রাখতে হংগুয়াং আনতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে কম দামী গাড়ি। যার নাম ‘ন্যানো’।
কোম্পানির দাবি, বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ইলেকট্রিক গাড়ির পাশাপাশি আরও একটি তকমা জুড়বে এই গাড়ির সঙ্গে। দামের প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে সস্তা হবে এই ন্যানো গাড়ি। ‘কার নিউজ চায়না’-র রিপোর্ট অনুযায়ী, এই গাড়ির দাম হতে চলেছে ২০,০০০ yuan, যা ভারতীয় মুদ্রায় ২ লক্ষ ৩০,০০০ টাকা। যদি এই খবর সত্যি হয় তবে এই ইলেকট্রিক গাড়িটি পাওয়া যাবে মারুতি-সুজুকি অল্টোর থেকেও কম দামে। পাশাপাশি এই কোম্পানির তৈরি আগের মিনি ইলেকট্রিক গাড়ির থেকেও সস্তা হবে এই ইলেকট্রিক গাড়িটি।
জানা গেছে, আয়তনে টাটার ন্যানোর থেকেও কম হবে এই গাড়িটি। চিনের এই ন্যানোর দৈর্ঘ্য ২৪৯৭ এমএম হবে। চওড়ায় এই ইলেকট্রিক গাড়িটি হবে ১৫২৬ এমএম। এই ইলেকট্রিক গাড়িটির উচ্চতা ১৬১৬ এমএম হবে। সেখানে টাটার ন্যানোর দৈর্ঘ্য ৩ মিটারেরও বেশি ছিল। প্রধানত, শহরবাসীদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে এই ইলেকট্রিক গাড়ি ন্যানো। ৪.৫ ঘণ্টায় ন্যানো পুরো চার্জ হয়ে যাবে। সবথেকে বড় বিষয় হল এই ইলেকট্রিক গাড়িটি একবার ফুলচার্জ হওয়ার পর যেতে পারবে ৩০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত।
এছাড়াও জানা গেছে, ডিজাইনের দিক থেকেও এই গাড়িটি কোনও অংশে কম হবে না। গাড়িতে এলইডি হেডলাইটস, কি লেস এন্ট্রি ছা়ড়াও ৭ ইঞ্চির ডিজিটাল স্ক্রিন দেওয়া হবে। এই ইলেকট্রিক গাড়ির মধ্যে এবিএস ও ইবিডি থাকবে। পথচারীরা এই গাড়ির সামনে আসার আগেই সতর্ক করে দেবে গাড়ি চালককে। যেকোনও কোম্পানি এই ধরনের ফিচার সাধারণত প্রিমিয়াম গাড়ির ক্ষেত্রেই দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন
Ola Electric Scooter: এবার রঙ দিয়ে মন জয় ওলা ইলেকট্রিক স্কুটারের, কীভাবে বুক করবেন জেনে নিন