দীপংকর সাহা: বর্তমানে তালেবান আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পর সরকার গঠনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই লক্ষ্যেই আজ তালেবানের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য আনাস হাক্কানি এবং অন্যান্য তালেবান (Taliban) সদস্যরা কাবুলে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাই এবং আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আফগানিস্থানে তালেবান এখন বাস্তব। তালেবানকে অস্বীকার করা ভারতের কাছেও এখন অসম্ভব। কিন্তু তালেবান ভারতের জন্য কি বার্তা বয়ে আনবে এটাই এখন ভারতের মাথা ব্যথার কারণ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা আফগানিস্তান থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে। কিন্তু ভারত আফগানিস্তানের সাথে অলিখিত সীমানা ভাগ করে। ফলে তালেবানের মুখপাত্র যতই বলুক না কেন কাশ্মীর ভারত পাকিস্থানের অভ্যন্তরীন বিষয় কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন কতটা হবে সেটা ভারতের প্রধান মাথা ব্যথার কারণ। আফগানিস্থানে তালেবানের ক্ষমতা দখল চীন -পাকিস্তান কৌশলগত জোটকে আরো শক্তিশালী করবে। চীন যে ভারতকে ঘিরে ধরার কৌশল নিয়েছে তালেবান তাতে গতি আনবে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রকৃতপক্ষে, আফগানিস্তানে তালেবানের বিজয় ভারতের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী চীন -পাকিস্তান অক্ষকে সহজতর করবে। সেক্ষেত্রে ভারতের সুরক্ষার উপর প্রভাব পড়বে। তালেবান শাসনে লস্কর -ই- তৈবা ও জইস-ই-মহম্মদ এর প্রধান আশ্রয়স্থল ও ট্রেনিং সেন্টার হবে আফগানিস্তানে। আফগানিস্তানে ভারতের প্রভাব শূন্যে নেমে গেছে । আফগানিস্তানে ‘র’ ও অন্যান্য ভারতীয় এজেন্সির যে নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছিল সেটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে পাকিস্থানকে চাপে রাখার কৌশল উল্টোভাবে পাকিস্থান ভারতের উপর প্রয়োগ করবে। এছাড়াও মধ্য এশিয়ায় ভারতের ট্রেড সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে যাবে। পাকিস্থান তাদের গোয়াদার বন্দরকে প্রমোট করার জন্য তালেবানের উপর প্রভাব বিস্তার করবে। সেক্ষেত্রে ভারতের ইনভেস্ট করা ইরানের চারবাহার বন্দরকে নিয়ে ভারতের যে মধ্য এশিয়ায় প্রবেশ করার পরিকল্পনা তা বাধা পাবে। আফগানিস্থানে ভারতের যে প্রজেক্টগুলো আছে সেগুলোও বাধা প্রাপ্ত হবে চীন পাকিস্থানের যৌথ প্রভাবে।
আরও পড়ুন