১৯৪৭ সালে দেশভাগের কথা আজও ভুলতে পারেনি বাঙালিরা। দুভাগে ভাগ হয়ে যায় আমাদের ভারতবর্ষ ও বাংলাদেশ। মাঝখানে পড়ে থাকে শুধু কাঁটাতারের বেড়া জাল। ১৯৫২ সালের এই দিনে ভাষা আন্দোলনকারী ছাত্রদের উপর পুলিশের নির্মম অত্যাচার ও গুলি চালানোর ঘটনা ইতিহাসের পাতায় আজও রক্ত দিয়ে লেখা রয়েছে। বাংলাদেশে এই দিনটিকে প্রথমে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হতো। যদিও ২০১০ সালের ৫ আগস্ট রাষ্ট্রসংঘ সিদ্ধান্ত নেয় যে একুশে ফেব্রুয়ারি (21 February) বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (International Mother Language Day) হিসেবে পালন করা হবে। ১৯৮৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী ‘বাংলা ভাষা প্রচলন বিল’ পাশ হয় জাতীয় সংসদ এবং সেটা কার্যকর করা হয় ৮ মার্চ ১৯৮৭ সাল থেকে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর একুশে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত করা হয়।
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি গানের কথাগুলো আজও কানে বাজে। গোটা দেশেই এই গানটি আজ করুন সুরে বাজতে থাকে। লড়াইটা ছিল শুধুমাত্র নিজের মাতৃভাষাকে বাঁচানোর জন্য। বাংলাদেশে আজও শহীদ দিবস পালিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা প্রাঙ্গণে অবস্থিত শহীদ মিনারের সামনে এই অনুষ্ঠানটি পালিত হয় প্রতিবছর। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার এই লড়াই আজও সারা শরীরে শিহরন জাগায়। সারা বিশ্ব এই লড়াইকে ভুলতে পারেনি।শুধুমাত্র একটি ভাষার জন্য যাঁরা নিজের প্রাণ বাজি রেখেছিলেন, তাঁদের এই লড়াইকে আজও কুর্নিশ জানায় গোটা বাঙালি জাতি।
আরও পড়ুন
বিলুপ্ত হওয়া এশিয়ার বিস্ময় ঢাকাই মসলিনকে কীভাবে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে, জেনে নিন