করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরও একটি অস্ত্র পেল ভারত। শুক্রবার জাইডাস ক্যাডিলার (Zydus Cadila) জাইকোভ-ডি ভ্যাকসিনকে (ZyCoV-D Vaccine) জরুরী ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (Drugs Controller General of India) (DCGI)। এখনও পর্যন্ত মোট ৬টি ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের জন্য ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। বিশেষ বিষয় হল এটি করোনার বিরুদ্ধে বিশ্বের প্রথম ডিএনএ ভ্যাকসিন। একই সঙ্গে, ১২ বছর ও তার বেশি বয়সীদের দেওয়া যাবে এই ভ্যাকসিন। ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী বাচ্চাদের জন্য ভারতে এটিই প্রথম ভ্যাকসিন।
কোভিশিল্ড (Covishield), কোভ্যাকসিন (Covaxin), স্পুটনিক (Sputnik), মডার্না (Moderna) এবং জনসন অ্যান্ড জনসন (Johnson & Johnson) ভ্যাকসিনের পর করোনার আরও একটি ভ্যাকসিন পেয়েছে ভারত। ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া জাইডাস ক্যাডিলার (Zydus Cadila) জাইকোভ-ডি (ZyCoV-D) ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। এই ভ্যাকসিনটি ভারতে তিনটি পর্যায়ে ট্রায়াল হয়েছে।
প্রায় ২৮ হাজার লোকের উপর ট্রায়াল করার পর, কোম্পানি Emergency Use Authorization অর্থাৎ জরুরী ব্যবহারে অনুমোদনের জন্য ডিসিজিআই -এর কাছে আবেদন করেছিল। এটি একটি ট্রিপল ডোজ ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজ রয়েছে, যা ৪-৪ সপ্তাহের ব্যবধানে দেওয়া হবে।
ভ্যাকসিনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য-
- এই ভ্যাকসিনটি ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী হাজার হাজার বাচ্চাদের উপর পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং এটি নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে।
- এর দক্ষতা ৬৬.৬%।
- এই ট্রিপল ডোজের ভ্যাকসিন ৪-৪ সপ্তাহের ব্যবধানে দেওয়া যেতে পারে।
- এই ভ্যাকসিনটিকে ২-৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়।
- এটিই প্রথম প্লাজমিড (plasmid) ডিএনএ (DNA) ভ্যাকসিন।
- এই ভ্যাকসিনটি সুচ-বিহীন, ইনজেকশন ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই, জেট ইনজেক্টরের মাধ্যমেও দেওয়া যেতে পারে।
- কোম্পানি বার্ষিক ১০-১২ কোটি ডোজ তৈরির পরিকল্পনা করেছে।
ভারতে এখনও পর্যন্ত পাঁচটি ভ্যাকসিন অনুমোদিত হয়েছে, যার মধ্যে তিনটি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, এগুলি হল ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন, অ্যাস্ট্রাজেনকা (Astrazenca) এবং সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (Serum Institute of India) কোভিশিল্ড এবং স্পুটনিক ভি। মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন শীঘ্রই আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন