রূপম দত্ত: কলকাতায় পৌঁছোলেন পশ্চিমবঙ্গের নতূন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁকে স্বাগত জানাতে দমদম বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শশী পাঁজা, মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। বিমানবন্দরেই তাঁকে ফুলের স্তবক দিয়ে সংবর্ধনা দেন উপস্থিত সকলেই। গার্ড অব অনার দিয়ে স্বাগত জানান হয়। সূত্র মারফত জানা যায় আজই হয়তো রাজ্যপাল হিসাবে শপথ নিতে পারেন তিনি।
কেন্দ্র সরকার পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী রাজ্যপাল হিসাবে সিভি আনন্দ বোসের নাম ঘোষনা করে ১৭ই নভেম্বর। বাংলার পূর্ব রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের, উপ রাষ্ট্রপতি হিসাবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গে ৪ মাসের জন্য অস্থায়ী রাজ্যপাল ছিলেন লা গণেশন, অর্থাৎ ৪ মাস পর পশ্চিমবঙ্গ স্থায়ী রাজ্যপাল পেল।
#WestBengal | The newly-appointed #Governor of West Bengal, Dr CV Ananda Bose visited #Kalighat temple today, says "May goddess Kali shower blessings on people of Bengal and the country."
He will be taking oath tomorrow. pic.twitter.com/OtsvXtK4MI
— NewsMobile (@NewsMobileIndia) November 22, 2022
উল্লেখ্য ১৯৭৭ ব্যাচের কেরল ক্যাডারের আইএএস আফিসার বোস কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলেছেন বলেও জানাযায়। জীবনের সুদীর্ঘ কর্মজীবনে কখনও জেলাশাসক কখনও সচিব-মুখ্যসচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ও দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব সামলানোর আগে তিনি মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের নতূন রাজ্যপাল হিসাবে তাঁর নাম ঘোষনার পর থেকেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানান পশ্চিমবঙ্গের অনেক গন্যমান্য ব্যাক্তিরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ওনাকে ফুল পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং ফোনে কথাও বলেন। এদিকে সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বোস জানান, মুখ্যমন্ত্রীর কথার ওপর গুরুত্ব দিয়েই তিনি কাজ করবেন। বোস বলেছিন,‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী। একজন দায়িত্ববান রাজ্যপাল হিসাবে তাঁর সঙ্গে আমি কাজ করব। সংবিধানের গণ্ডির মধ্যে থেকে কাজ করব।’
পশ্চিমবঙ্গের প্রক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সাথে সরকারের চরম সংঘাতের খবর কারোর অজানা নয়। সংঘাত শুরু হয় ট্যুইট যুদ্ধ দিয়ে এবং তা শেষ পর্যন্ত গড়ায় প্রক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দরবার পর্যন্ত।তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতির কাছে সরাসরি আবেদন জানান যাতে ধনখড়কে রাজ্যপালের পদ থেকে সরানো হয়। এবার দেখার নতুন এই রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ও শাসক দলের সম্পর্ক কেমন হয়।