শর্মিষ্ঠা ঘোষঃ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সিভিক পুলিশের পোশাক পরে থাকা এক যুবক একটি চলন্ত গাড়ির জানলা ধরে ঝুলছে। প্রাণপণে বাঁচাও বাঁচাও বলছে, গাড়িতে বসে থাকা চালককে বলছে, “দাদা ভুল হয়ে গেছে, আমাকে ছেড়ে দাও”। কিন্তু সেসবে কর্নপাত না করেই বিপজ্জনকভাবে সেভাবেই নিয়ে দ্রুতবেগে ছুটে চলছে গাড়িটি। সেই সঙ্গে গাড়ির ভিতরে থাকা আরোহীদের সঙ্গে সিভিকের পোশাকে থাকা যুবকটির জোর বাকবিতণ্ডা চলছে। গাড়ির ভিতরে থাকা আরোহীরা সিবিকের পোশাকে থাকা যুবকটিকে বারবার প্রশ্ন করছে সে কেন তোলাবাজি করছে, ও গাড়ির চাবিতে কেন হাত দিচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে, যুবকটি গাড়িতে থাকা আরোহীদের কাছে ক্ষমা চাইছে এবং জানাচ্ছে যে ‘থানায় বড়বাবুর নির্দেশে তাকে এই তোলাবাজি করতে হচ্ছে’। এইরকমই একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যাতেই হইচই পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ লেখেন, উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। কেউ আবার আইন হাতে তুলে নেওয়ায় এই ঘটনার সমালোচনাও করেন।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ ও কলকাতা পুলিশের চাপ কমাতে সিভিক পুলিশদের (সিভিক ভলান্টিয়র) ওপর ভরসা রেখেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সিভিক ভলান্টিয়রদের নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই সাধারণ মানুষের। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এই ঘটনাটি চমককে দেওয়ার মতো। ভিডিয়োটি দেখে দেদার শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁদের মতে, যারা এই উচিত শিক্ষা দিল তাঁদের ধন্য ধন্য করেছেন নেটিজেনরা।
দেখুন ভিডিও – https://www.facebook.com/sangbadekalavya/videos/632488655681703
তবে, ভিডিয়োর অভিনয় দেখে একেবারে সত্য মনে হলেও ভিডিওটি সত্য নয়। ফ্যাক্ট চেক করে দেখা গেছে গোটা ঘটনাটি মজার ছলে বানানো হয়েছে। ভিডিওটি থেকে স্ক্রিনশট সংগ্রহ করে তার রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ওই একই ভিডিও দেখতে পাওয়া গেছে অন্য একটি পেজে। ভিডিওর ওপর ‘কমেডি প্রসেসিং ইউনিট’ লেখা দেখে বোঝা গেছে ভিডিওটি দর্শকের হাসির উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। সুতরাং ভিডিও দেখে বোঝা যাচ্ছে যে এটি একটি কাল্পনিক স্ক্রিপ্ট ও নাটকের ছলে তৈরি করা হয়েছে। যেটি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনে সংশয় ও সৃষ্টি করেছে।