“তাইয়ো-নো-তামাগো” অর্থাৎ সূর্যের ডিম। পৃথিবীর সবচেয়ে দামী আম হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে এই “তাইয়ো-নো-তামাগো”। জাপানি ভাষায় “তাইয়ো-নো-তামাগো” বলে ডাকা হয় এই আমকে। জাপানের কিয়ুশু প্রিফেকচারের মিয়াজাকি শহরে মূলত এই আম পাওয়া যায় বলে শহরের নামেই আমটির নামকরণ হয়েছে মিয়াজাকি আম।
ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ায় উৎপন্ন অন্যান্য আমের প্রজাতির থেকে মূলত আলাদা এই আম। আকার এবং রঙেরও পার্থক্য রয়েছে। সাধারণত গাঢ় লাল বা বেগুনী রঙের হয়ে থাকে এই মিয়াজাকি আম। এক-একটি আমের ওজন হয় প্রায় ৩৫০ গ্রাম। অন্যান্য আমের তুলনায় এতে শর্করার পরিমাণ প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি থাকার কারণে এটি বেশ মিষ্টি হয়।সাধারণত এপ্রিল থেকে অগাস্টের মধ্যে জাপানে মিয়াজাকি আমের ফলন হয়।
বিশ্বের অন্যতম দামী ও ব্যয়বহুল আম বলে বিবেচিত হয় মিয়াজাকি আম। কেজিপ্রতি এই আমের দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। জাপানি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত বছর আন্তর্জাতিক বাজারে এই দর উঠেছিল মিয়াজাকি আমের।
জাপানের সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, মিয়াজাকি আমের চাষ শুরু হয় গত শতাব্দীর সাতের ও আটের দশকে। উষ্ণ আবহাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি এবং দীর্ঘ দিন সময় নিয়ে মিয়াজাকিতে এই আমের ফলন ভালো হয়। এই আমগুলি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং বিটা-ক্যারোটিন ও ফলিক অ্যাসিড রয়েছে, তাই এই আম দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় ভীষণ উপকারী বলে জানা গিয়েছে।